• ঢাকা
  • সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

নিখোঁজের ১৫ দিন পর লাশ উদ্ধার, দাফনের ৫ দিন পর জীবিত ফিরলেন


ফরিদপুর প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৩, ০৯:২৯ এএম
নিখোঁজের ১৫ দিন পর লাশ উদ্ধার, দাফনের ৫ দিন পর জীবিত ফিরলেন

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলায় নিখোঁজের ১৫ দিন পর লাশ উদ্ধার এবং লাশ দাফনের ৫ দিন পর হাসি বেগম (২৪) নামের এক গৃহবধূকে জীবিত উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সদরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ময়মনসিংহের নান্দাইল থেকে হাসি বেগমকে আটক করে সদরপুর থানায় নিয়ে আসেন।

এর আগে গত ৭ সেপ্টেম্বর হাসি বেগম নিখোঁজ হন। ২০ সেপ্টেম্বর তার পরিবারের তত্ত্বাবধানে শৌলডুবী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

হাসি বেগম সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের শৌলডুবী গ্রামের হাবিবুর রহমানের মেয়ে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ৮ বছর আগে একই উপজেলার চরবিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বড় বাড়ির মৃত শাহা আলম শেখের ছেলে মোতালেব শেখের সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় হাসি বেগমের। হুসাইন নামের ৭ বছরের একটি পুত্রসন্তান রয়েছে এই দম্পতির। ৭ সেপ্টেম্বর হাসি বেগম বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন।

এ ঘটনায় হাসির বাবা শেখ হাবিবুর রহমান ১১ সেপ্টেম্বর সদরপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। জিডিতে উল্লেখ করা হয়, তার মেয়ে হাসি বেগমকে হত্যা করে লাশ গুম করেছেন জামাতা মোতালেব শেখ (৪৫)। দুই দিন পর, ১৪ সেপ্টেম্বর হাসির স্বামী মোতালেব শেখ সদরপুর থানায় পাল্টা একটি অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, তার স্ত্রী হাসি বেগম নগদ টাকাসহ ১০ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে বাবার বাড়িতে পালিয়ে গেছেন।

এদিকে গত ২০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ভাঙ্গা উপজেলার মানিকদহ ইউনিয়নের আদমপুর এলাকার নাউটানা এলাকায় কচুরিপানার ভেতর থেকে একটি অর্ধগলিত নারীর লাশ উদ্ধার করে ভাঙ্গা থানা-পুলিশ। হাসি বেগমের মা সালমা বেগম লাশের কোমরে একটি তাবিজ ও পায়ের একটি আঙুল ছোট থাকায় নিখোঁজ হাসি বেগমের লাশ হিসেবে শনাক্ত করলে ময়নাতদন্ত ও আইনগত প্রক্রিয়ার পর শৌলডুবী মদিনাতুল কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়।

অপর দিকে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ চলা অবস্থায় ২৩ সেপ্টেম্বর হাসি বেগম ফোন করে তার বাবা-মাকে জানান তিনি জীবিত আছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার সদরপুর থানা-পুলিশ হাসি বেগমকে ময়মনসিংহের নান্দাইল থেকে জীবিত উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মো. গফফার শিকদার বলেন, “এর আগে জানতে পারি নিখোঁজের পর হাসি বেগমের লাশ পাওয়া গেছে এবং তার পরিবারের লোকজন হাসির লাশও দাফন করে। হঠাৎ আবার জানতে পারলাম হাসি বেগম মারা যায়নি।”

সদরপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মামুন আল রশিদ বলেন, হাসি বেগমকে ময়মনসিংহের নান্দাইল এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি থানায় আছেন। এখনই এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো সম্ভব নয়। পরে বিস্তারিত জানানো যাবে।

Link copied!