বিএনপি হতাশ হয়ে পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে তিনি একুশে পত্রিকার প্রয়াত সম্পাদক আজাদ তালুকদারের স্মরণে দোয়া মাহফিল ও শোকসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “আপনারা দেখেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা উপদেষ্টার বৈঠক হয়েছে। জি-২০ সম্মেলনে কীভাবে বিশ্বনেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক হয়েছে, জো বাইডেনসহ অন্যান্য বিশ্বনেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় হয়েছে। এতে বিএনপি হতাশ হয়ে পড়েছে।”
তথ্যমন্ত্রী বলেন, “বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর চট্টগ্রামে দলীয় কার্যালয়ের সামনে রোডমার্চ শেষে যে বক্তব্য রেখেছেন, সেখানে যে সংখ্যক মানুষ হয়েছে, চট্টগ্রামের লালদিঘির পাড়ে অনেক সময় যখন পাগল নাচে তখনো এর কাছাকাছি মানুষ হয়। সুতরাং তাদের কর্মসূচিতে লোক সমাগম সেভাবে হয়নি এবং তারা প্রচণ্ড হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। আশা করেছিল বিদেশিরা তাদেরকে কোলে করে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে, সেই আশাও বুমেরাং হয়েছে।”
তিনি বলেন, “বিএনপি নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করে দেশের গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করার পথে হাঁটছে, সেটি এই দেশের মানুষ হতে দেবে না। যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং কেউ নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা চালালে দেশের মানুষ যেমন প্রতিহত করবে, একইভাবে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার প্রক্রিয়া কখনো বিদেশিরাও সমর্থন করে না।”
বিএনপি নির্বাচনকে ভয় পাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “বিএনপি মহাসচিব বলেছেন শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করবেন না, এতেই প্রমাণিত হয় তারা নির্বাচনকে ভয় পাচ্ছেন। কারণ তাদের কর্মসূচি ও সমাবেশগুলোতে মানুষ হচ্ছে না। ফলে তারা বুঝতে পেরেছেন নির্বাচনে জয়লাভের সম্ভাবনা নাই, তাই নির্বাচনকে ভয় পাচ্ছেন। এজন্য নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করার পথে তারা হাঁটছেন।”
হাছান মাহমুদ বলেন, “চট্টগ্রামে রোডমার্চ শেষে বিএনপি বলেছে, এই অক্টোবর হলো তাদের বিজয়ের মাস, সরকারকে ১৮ তারিখের মধ্যে পদত্যাগের সময় বেঁধে দিয়ে আলটিমেটাম দিয়েছে। এরকম আলটিমেটাম বিএনপি গত ১৩-১৪ বছরে বহুবার দিয়েছে। গত ডিসেম্বরেও তাদের আলটিমেটাম ছিল, তারপর খালেদা জিয়াকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিদেশ পাঠানোর আলটিমেটামও ছিল। এখন ১৮ তারিখ আবার আলটিমেটাম দিয়েছে। এই বছরের ১৮ তারিখ নাকি আগামী বছরের ১৮ তারিখ, নাকি তারও পরের বছরের ১৮ তারিখ সেটিও অনেকে প্রশ্ন রেখেছেন। বিএনপির আলটিমেটাম ফাঁকা বুলি ছাড়া অন্যকোনো কিছু নয়।”