নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে যৌতুকের জন্য নাজমা আক্তার (২০) নামের এক গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টার ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন গৃহবধূর স্বামী মো. রাসেল, শ্বশুর ফখরুল ইসলাম, শাশুড়ি সফুরা বেগম ও দেবর মামুন।
রোববার (১২ নভেম্বর) ভোরে বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মুজাহিদপুর গ্রামের উজির আলী জমাদার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। এর আগে শনিবার (১১ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার মুজাহিদপুর গ্রামে এ হত্যাচেষ্টার ঘটনা ঘটে।
নাজমা আক্তার চৌমুহনী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের হাজীপুর এলাকার রুস্তম ড্রাইভার বাড়ির মো. ইউসুফের মেয়ে।
ভুক্তভোগী নাজমা জানান, পাঁচ বছর আগে উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মুজাহিদপুর গ্রামের অটোরিকশাচালক মো. রাসেলের সঙ্গে পারিবারিকভাবে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের টাকার জন্য সংসারে কলহ করতেন রাসেল। কিছু দিন আগে তিনি তার অটোরিকশাটি বিক্রি করে দেন।
নাজমা আরও বলেন, “৬ নভেম্বর নতুন একটি অটোরিকশা কেনার জন্য দুই লাখ টাকা এনে দেওয়ার জন্য সে আমাকে বাবার বাড়িতে পাঠায়। শনিবার দুপুরের দিকে সে আমার কাছে টাকা চেয়ে ঘরের জিনিসপত্র ভাঙতে চেষ্টা করে। ওই সময় আমি বাধা দিলে শ্বশুর-শাশুড়ির উপস্থিতিতে রাসেল আমার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।”
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম বলেন, তৈল জাতীয় পদার্থ দিয়ে শরীরে আগুন দেওয়া হয়েছে। তার শরীরের ২৫ শতাংশ আগুনে পুড়ে গেছে।
বেগমগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমেনা বেগম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় যৌতুক আইনে মামলা নেওয়া হয়েছে। আসামিদের ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।