• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং

কক্সবাজারে রাতের মধ্যেই সরিয়ে নেওয়া হবে ৬ লাখ মানুষ


কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০২২, ০৯:০২ পিএম
কক্সবাজারে রাতের মধ্যেই সরিয়ে নেওয়া হবে ৬ লাখ মানুষ

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তাণ্ডব থেকে রক্ষা পেতে কক্সবাজারের বিভিন্ন উপকূলীয় এলাকা থেকে সোমবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়েছে জেলা প্রশাসন। এ ছাড়াও ২ হাজার ৭৩৬টি গবাদিপশু নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

ঝুঁকিপূর্ণ উপকূলীয় অঞ্চলের আরও ছয় লাখ মানুষকে রাতের মধ্যেই নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ। ইতিমধ্যে জেলার ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে। মাঠে নামানো হয়েছে ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। দুপুর থেকে উপকূলের লোকজনকে ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে সতর্ক এবং নিরাপদ স্থানে সরে যেতে অনুরোধ জানিয়ে চালানো হচ্ছে প্রচারণা।

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর প্রচণ্ড উত্তাল। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং সোমবার মধ্যরাতে উপকূলে আঘাত হানতে পারে। কক্সবাজার উপকূলকে ৬ নম্বর বিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কায় আছেন কক্সবাজারের সাগরদ্বীপ কুতুবদিয়া ও মহেশখালী, পেকুয়া, চকরিয়া, কক্সবাজার সদর ও টেকনাফ উপজেলার উপকূলীয় দেড় শতাধিক গ্রামের ১০ লাখ মানুষ। বেশ কয়েকটি উপজেলায় ১০ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ভাঙা আছে।

সিত্রাংয়ের প্রভাবে রোববার (২৩ অক্টোবর) সকাল থেকে আকাশ কালো মেঘে ডাকা পড়েছে। সোমবার (২৪ অক্টোবর) সারাদিন সূর্যের দেখা নেই। সাগরও প্রচণ্ড উত্তাল রয়েছে। জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৭-৮ ফুট উচ্চতায় বৃদ্ধি পেয়ে উপকূলে আঘাত হানছে। বইছে ঝোড়ো হাওয়া। থেমে থেমে চলছে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি।

জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ বলেন, উপকূলের অতিমাত্রায় ঝুঁকিতে থাকা ছয় লাখের বেশি মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হবে। সোমবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে আনা হয়েছে। সেই সঙ্গে ২ হাজার ৭৩৬টি গবাদিপশু নিরাপদে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে আনা হয়। বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং চলছে। বিকেল থেকে লোকজনকে সরিয়ে আনার কাজ শুরু হয়। এ জন্য জেলার ৯টি উপজেলায় ৫৭৬টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়েছে। এসব কেন্দ্রের ধারণক্ষমতা ৬ লাখ ৫ হাজারের বেশি। ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ২ হাজার ২০০ জন পুলিশ, কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ এবং ৮ হাজার ৬০০ জন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবী ও সিপিপি সদস্য। আশ্রয়শিবিরে শুকনা খাবার, বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থা, গর্ভবতী, শিশু ও প্রতিবন্ধীদের জন্য পৃথক ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

Link copied!