রমজানের এক মাস বিরতির পর ঈদের টানা ছুটিতে লাখো পর্যটককে স্বাগত জানানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে শহর কক্সবাজার। এবার ঈদুল ফিতরের সরকারি ছুটি ৫ দিন হলেও টানা ১০ দিন কক্সবাজারে ভরপুর থাকবে পর্যটক। এতে অন্তত ১ হাজার ২০০ কোটি টাকার বাণিজ্য হবে বলে ধারণা করছেন পর্যটন-সংশ্লিষ্টরা।
ইতোমধ্যে কক্সবাজার শহরের পাঁচ শতাধিক হোটেল-মোটেল ও ২৫০ রেস্তোরাঁয় ধোয়ামোছা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ সম্পন্ন করেছেন ব্যবসায়ীরা। সৈকতকে কেন্দ্র করে বসা ভ্রাম্যমাণ দোকান, ঝিনুক ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরাও জোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
এ বছর রমজান মাসেই পড়েছে মহান স্বাধীনতা দিবস ও পয়লা বৈশাখ। যে কারণে এই দুই বিশেষ দিনেও পর্যটকের দেখা মেলেনি এখানে। এমনকি তারকা মানের হোটেল ও রিসোর্টগুলোতেও কক্ষ ভাড়ায় ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হলেও, পর্যটকদের সাড়া মেলেনি।
পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রতিবছর ঈদের ছুটিতে পুরো সপ্তাহ পর্যটকে ভরপুর থাকে। তখন হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টগুলোতে কক্ষ সংকটও দেখা দেয়। এ বছরও এই সময়ে লাখো পর্যটকের সমাগম হবে কক্সবাজারে।
সুগন্ধা পয়েন্টের সাগর পাড়ে সেইলর ইকো বিচ রিসোর্টের পরিচালক বেলাল আবেদীন ভুট্টো বলেন, এ রিসোর্টে ১২টি কক্ষ রয়েছে। কক্ষের ভাড়া ২ হাজার থেকে শুরু করে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত আছে। এবারের ঈদে কক্ষ ভাড়ায় ২০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় রয়েছে তাদের।
পর্যটন ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান বলেন, ঈদের ছুটিতে ব্যাপক পর্যটক সমাগমের আশা করা হচ্ছে। পর্যটকদের বরণে সেভাবে প্রস্তুতিও নিচ্ছে সবাই। তবে ঈদ পর্যন্ত তীব্র তাপপ্রবাহ থাকলে আশানুরূপ পর্যটক না-ও আসতে পারেন।
তারকা মানের হোটেল কক্স-টুডের জেনারেল ম্যানেজার আবু তালেব বলেন, রমজানে কক্ষ ভাড়ায় ৪০-৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হয়েছিল। ঈদেও পর্যটকদের উৎসাহিত করতে আকর্ষণীয় ছাড় রয়েছে।
একইভাবে শহরের অভিজাত হোটেল ওশান প্যারাডাইস, সায়মন বিচ, সি-গাল, সি প্যালেস, লং বিচ, কল্লোল, মিডিয়া ইন্টারন্যাশনালসহ বিভিন্ন হোটেল, গেস্টহাউস, কটেজ ও রিসোর্টে ঈদের ছুটিতে ১০ থেকে ৩০ শতাংশ ছাড় রয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, রমজান মাসে কক্সবাজারে কোনো পর্যটক আসেনি। এখন ঈদের ছুটিতে পর্যটক আসবেন। এবার ঈদে সরকারি ছুটি ৫ দিন থাকলেও অন্তত ১০ দিন কক্সবাজারে বিপুলসংখ্যক পর্যটক অবস্থান করতে পারেন। এতে প্রায় ১২০০ কোটি টাকার বাণিজ্য হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) আবু সুফিয়ান বলেন, “ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের ভ্রমণ আনন্দময় করে তুলতে যাতে কোনো অসুবিধা না হয়, সেদিকে সার্বক্ষণিক নজরদারি থাকবে জেলা প্রশাসনের। পাশাপাশি পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মাঠে থাকবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। আমাদের লক্ষ্য থাকবে কোনো পর্যটক যেন কোনোভাবে হয়রানির শিকার না হন।”
                
              
																                  
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    






































