ভারতের কাশ্মীরের শ্রীনগরের বিখ্যাত পর্যটন কেন্দ্র ডাল লেকে হাউস বোটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত তিনজনের মধ্যে দুজন গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলী। নিহত অপরজন ঠিকাদার।
শনিবার (১১ নভেম্বর) স্থানীয় সময় ভোর সোয়া পাঁচটার দিকে ডাল লেকের ৯ নম্বর ঘাটের কাছে সাফিনা নামের একটি হাউস বোটে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ সময় পাশে থাকা অন্তত পাঁচটি হাউস বোটে এ আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
কাশ্মীর পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, নিহত তিন পর্যটকের মধ্যে আছেন চুয়েটের ২০০৪-০৫ শিক্ষাবর্ষের পুরকৌশল বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও রাঙামাটি গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী অনিন্দ্য কৌশল, কুয়েটের ২০০৬-০৭ শিক্ষাবর্ষের পুরকৌশল বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও গণপূর্ত বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী ইমন দাশগুপ্ত এবং ঠিকাদার মো. মাইনুদ্দিন চৌধুরী। এ ঘটনায় আরও সাতজন অগ্নিদগ্ধ হন।
নিহত অনিন্দ্য কৌশলের বাবা স্বপন কুমার নাথ জানান, অনিন্দ্য ৩ নভেম্বর তীর্থের উদ্দেশ্যে ভারতে যান। দু-এক দিনের মধ্যেই তার ফেরার কথা ছিল। তারা ভারতে যোগাযোগের চেষ্টা করছেন। তবে এখন পর্যন্ত সেখানকার প্রশাসন তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি।
রাঙামাটি গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী সুজন পাল বলেন, ‘স্যারের (অনিন্দ্য কৌশল) সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ ছিল। তিনি খুব ভালো একজন মানুষ। তার এমন মৃত্যু আমরা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না।’
কাশ্মীর পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল ভোরে ডাল লেকে নোঙর করে রাখা সাফিনা নামে একটি হাউস বোটে আগুন লাগে। এরপর সেই আগুন আশপাশে থাকা আরও কয়েকটি বোটে ছড়িয়ে পড়ে।
এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, গতকাল ভোরের এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় পাঁচটি হাউস বোট পুড়েছে। এরমধ্যে এক বোটে থাকা তিনজন বাংলাদেশি পর্যটক মারা গেছেন। আর দগ্ধ হয়েছেন সাতজন।
হাউস বোটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে স্থানীয় প্রশাসন। কাশ্মীরের কর্মকর্তারা জানান, ত্রুটিপূর্ণ বৈদ্যুতিক তার থেকে আগুনের সূত্রপাতের কথা প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। ভারত সরকারের হিসাব অনুযায়ী, ২০২২ সালে জম্মু ও কাশ্মীরে যান ১ কোটি ৬২ লাখের বেশি পর্যটক।