চট্টগ্রাম মহানগরীর ১০টি থানায় বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে ১৩টি মামলা করা হয়েছে। এসব মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে ১৫ জনের বেশি নেতাকর্মীকে।
বুধবার (৮ নভেম্বর) দিবাগত রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি করেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা মো. ইদ্রিস আলী।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিএনপির ডাকা অবরোধ ও হরতালকে কেন্দ্র করে ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগের মতো আবারও গায়েবি মামলা দায়ের শুরু হয়েছে। ঢাকার সমাবেশের পর থেকে চট্টগ্রামের ১০ থানায় এই পর্যন্ত বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ১৩টি মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।
এর মধ্যে চান্দগাঁও থানায় ১টি, পাঁচলাইশ থানায় ১টি, বায়েজিদ থানায় ৩টি, আকবরশাহ থানায় ২টি, খুলশী থানায় ১টি, পাহাড়তলী থানায় ১টি, ইপিজেড থানায় ১টি, কোতোয়ালী থানায় ১টি, হালিশহর থানায় ১টি ও পতেঙ্গা থানায় ১টি করে মোট ১৩টি মামলা দায়ের করেছে।
এসব মামলায় শত শত নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ১৫ জনের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) রাতে নগরীর অক্সিজেন মোড় থেকে জালালাবাদ ওয়ার্ড বিএনপির ধর্ম সম্পাদক বালুচরা এলাকার হাজী মো. সিরাজ পাশাকে বায়েজিদ থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে।
একইদিন রাতে চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের পরিবার কল্যাণ সম্পাদক জাকির হোসেন মিশু, চকবাজার থানা পুলিশ চট্টগ্রাম মেডিকেলের সামনে থেকে বিএনপি নেতা মো. ইউসুফকে গ্রেপ্তার করেছে। এছাড়া পাঁচলাইশ থানা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মেজবাহ উদ্দিন উজ্জ্বল, ৭ নম্বর পশ্চিম ষোলশহর ওয়ার্ড যুবদলের আহ্বায়ক মোহাম্মদ জাবেদ হোসেনকে পাঁচলাইশ থানা, সদরঘাট থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আল আমিন, চান্দগাঁও যুবদল নেতা জামাল উদ্দিন, ৪৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবদল নেতা মোহাম্মদ রাজু, বক্সির হাট যুবদল নেতা মো. সাইফুল ও মো. আবু ছৈয়দ, দক্ষিণ আগ্রাবাদ ওয়ার্ড যুবদল নেতা সামসুদ্দীন শামসুসহ ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এ বিযয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার ও গণসংযোগ কর্মকর্তা স্পীণা রানী প্রামাণিক বলেন, গায়েবি মামলা নয়, সুনির্দিষ্ট অপরাধের ভিত্তিতে মামলা হয়েছে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নিবে এটাই তো স্বাভাবিক।