নাটোরের বাগাতিপাড়ার সাদিমারা বটতলা মোড়ে দেড় যুগ ধরে পান বিক্রি করছেন মহসিন আলী। এক হাত দিয়ে অনায়াসে খুব চমৎকারভাবে ক্রেতাদের মন জুগিয়ে পান তৈরি করছেন তিনি।
এতে একদিকে পান বিক্রি করে যেমন তিনি স্বাবলম্বী হয়েছেন অন্যদিকে প্রতিবন্ধীদের কাছে উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন। প্রতি মাসে এই দোকান থেকে ১৫-২০ হাজার টাকা আয় করেন তিনি।
মহসিনের পানের দোকানে গিয়ে দেখা যায়, হরেক রকম জর্দা ও মসলা দিয়ে নানা স্বাদের পান তৈরি করেন তিনি। বাহারি এ পান খেতে দূরদূরান্ত থেকে লোক আসেন তার এই পানের দোকানে।
উপজেলার সাদিমারা বটতলা মোড়ের খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পান বিক্রি করেই স্বাবলম্বী হয়েছেন মহাসিন। এখন শুধু বাগাতিপাড়া নয় বিভিন্ন এলাকা থেকে লোক আসেন বাহারি এই পান খেতে।
মহসিন এর আগে ২-৩ টাকা করেও পান বিক্রি করেছেন। বর্তমানে পানের উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় প্রতিটি মিষ্টি ও জর্দা পানের মূল্য ৫ টাকা করে নেন।
মিষ্টি পান খেতে আসা আজাদ আলী বলেন, “আমি সাধারণত পান খাই না। তবে যখন এদিকে আসি তখন মহসিনের এ মিষ্টি পান খেতে ভুল করি না।”
স্থানীয় ইউপি সদস্য মকবুল হোসেন বাদশা বলেন, “এ দোকানে সব সময় ক্রেতাদের ভিড় লেগেই থাকে। অনেক দূর থেকে মানুষ মহসিনের পান খেতে আসেন।”
পান বিক্রেতা মহসিন বলেন, “প্রতিদিন ২-৩ হাজার টাকার পান বেচাকেনা হয়। ১৮-২০ বছর ধরে পান বিক্রি করছি। এর বাইরে অন্য কিছু করি না। আমার কোনো অভাব নেই। আমি বর্তমানে স্বাবলম্বী।”