• ঢাকা
  • বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫, ৭ মাঘ ১৪৩০, ২২ রজব ১৪৪৬

স্কুলের গেট বিক্রি করে দিলেন ম্যানেজিং কমিটির দুই সদস্য


গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২১, ০৫:০৩ পিএম
স্কুলের গেট বিক্রি করে দিলেন ম্যানেজিং কমিটির দুই সদস্য

গোপালগঞ্জে মুকসুদপুর উপজেলার কৃষ্ণাদিয়া ৬ নম্বর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির দুই সদস্যের বিরুদ্ধে স্কুলের লোহার গেট বিক্রি করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। 

অভিযুক্তরা হলেন ম্যানেজিং কমিটির বিদ্যোৎসাহী সদস্য কাজী মনির ও সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন।

গেট চুরির ঘটনার প্রতিকার চেয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর আবেদন করেছেন ওই কমিটির অভিভাবক সদস্য মো. হুমায়ুন মৃধা।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে স্কুলের পুরাতন লোহার গেটটি যথাস্থানে দেখতে না পেয়ে বিদ্যালয় চত্বরের বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করা হয়। কোথাও না পেয়ে প্রাথমিকভাবে গেটটি চুরি হয়েছে বলে ধারনা করা হয়। পরে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য কাজী মনির ও সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন অন্য সদস্যদের কিছু না জানিয়ে নিজেদের ইচ্ছামতো কৃষ্ণাদিয়া বাজারের এক ওয়ার্কশপ ব্যবসায়ীর কাছে গোপনে গেটটি বিক্রি করে দিয়েছেন।

অভিযোগে মো. হুমায়ুন মৃধা আরও উল্লেখ করেন, “গেটটি চুরি হওয়ার খবর শুনে আমি আশপাশে ও ব্যবসায়ীদের খোঁজ নিতে থাকি। তখন স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, কৃষ্ণাদিয়া বাজারের ওয়ার্কশপ ব্যবসায়ী মো. ইছানূরের গ্রামের বাড়ি বাউষখালীতে গেটটি রাখা আছে। সেখানে গিয়ে স্কুলের পুরাতন গেটটি দেখতে পাই। পরে গেটটি ওই রাতেই আবার বিদ্যালয় চত্বরে রেখে যাওয়া হয়।”

হুমায়ুন মৃধা সাংবাদিকদের জানান, ব্যবসায়ী ইছানূরের কাছে বিদ্যালয়ের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষককে নিয়ে গেলে গেটটি ম্যানেজিং কমিটির সদস্য কাজী মনির ও সহসভাপতি আনোয়ার হোসেন বিক্রি করেছেন বলে তিনি জানান। 

ওয়ার্কশপ ব্যবসায়ী ইছানূর জানিয়েছেন, কৃষ্ণাদিয়া গ্রামের কাজী হাবিবুর রহমানের (হবি) ছেলে মনির কাজী ও মান্নান শেখের ছেলে আনোয়ার শেখ বাহিরচর পাড়ার রিপনের ভ্যানে করে লোহার গেটটি আমার কাছে নিয়ে এসে বিক্রি করেন। গেটটি ব্যবহারের যোগ্য বলে আমি আমার বাড়িতে নিয়ে যাই।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আনোয়ার শেখ বলেন, “বিদ্যালয়ে নতুন গেট লাগানোর পর পুরাতন গেটটি অনেক দিন পড়ে ছিল। গত শুক্রবার কে বা করা এটি সরিয়ে ফেলেছে আমি তা বলতে পারব না। আর আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা মোটেই সত্য নয়। গ্রাম্য রাজনীতির কারণে আমাকে অপবাদ দেওয়া হচ্ছে।”

অপর অভিযুক্ত মনির কাজীর মুঠোফোন নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি। তবে তার বাবা হাবিবুর রহমান (হবি) কাজী সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমার ছেলে কৃষ্ণাদিয়া সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির বিদ্যোৎসাহী সদস্য। তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সঠিক নয়। এলাকার দ্বন্দ্বের কারণে এ অপবাদ দেওয়া হয়েছে।”

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নীলরতন শীল বলেন, “শুক্রবার দুপুরে আমরা স্কুলের পুরাতন গেটটি যথাস্থানে দেখতে না পেয়ে ম্যানেজিং কমিটির সকলকে অবগত করি। এ বিষয়ে শিক্ষা অফিসারের অনুমতিক্রমে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও অভিযুক্ত সদস্যদের নিয়ে বিষয়টির সত্যতা উদ্ঘাটন ও সমাধানের জন্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) বসা হয়েছে।”

Link copied!