• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর, ২০২৪, ৬ কার্তিক ১৪৩১, ১৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

সাবেক স্ত্রীকে ফাঁসাতে মামাকে হত্যা


নোয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশিত: মে ৯, ২০২২, ০২:৫২ পিএম
সাবেক স্ত্রীকে ফাঁসাতে মামাকে হত্যা

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় শৌচাগারের সেপটিক ট্যাংক থেকে মো. ওমর ফারুক (৩০) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধারের ১২ ঘণ্টার মধ্যে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডে জড়িত আনছারুল করিমকে (৩৮) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সোমবার (৯ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

গ্রেপ্তার করিম কক্সবাজার জেরার মহেশখালী উপজেলার কালারমাছড়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর ঝাপুয়া গ্রামের মো. ইসমাইলের ছেলে। নিহত ফারুক একই ইউনিয়নের উত্তর ঝাপুয়া গ্রামের খাতুবের বাড়ির মৃত আলী আহম্মদের ছেলে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নোয়াখালীর সদর উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের উত্তর সাকলা গ্রামের হারুনের মেয়ে শারমিন আক্তারের সঙ্গে আনসারুল করিমের ২০১৮ সালে বিয়ে হয়। চলতি বছর ২০ এপ্রিল কাজীর মাধ্যমে তারা একে অপরকে তালাক দেন। তালাক দেওয়ায় আনছারুল করিম তার স্ত্রীর ওপর ক্ষিপ্ত হন। একপর্যায়ে সাবেক স্ত্রী ও তার পরিবারকে ফাঁসানোর জন্য পরিকল্পনা করেন আনছারুল। পরিকল্পনা অনুযায়ী আসামি তার চাচাতো মামা মো. ওমর ফারুককে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিরোধ সমাধান করে দেওয়ার কথা বলে ৫ মে আনসারুল করিমের শ্বশুরবাড়ি উত্তর চাকলায় নিয়ে আসেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী আনছারুল তার আরেক সহযোগীসহ একই দিন রাত সাড়ে ৯টার দিকে শ্বশুরবাড়ির উত্তর পাশে সুপারিবাগানের মধ্যে নিয়ে ওমর ফারুককে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এরপর আসামি তার শ্বশুরবাড়ির শৌচাগারের সেপটিক ট্যাংকের ভেতর ওমর ফারুকের লাশ ফেলে চট্টগ্রামে পালিয়ে যান। পরে পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার চার দিন পর মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। অপর পলাতক আসামি রাসেলকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।

এর আগে রোববার (৮ মে) দুপুর ২টার দিকে নোয়াখালীর সদর উপজেলার ৯ নম্বর কালাদরাপ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর চাকলা গ্রামের খোনার মসজিদসংলগ্ন চুটকি বাড়ি সেপটিক ট্যাংক থেকে ওমর ফারুকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  

Link copied!