• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ, ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৯ রমজান ১৪৪৬

শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা পালিত


খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি
প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২১, ১২:০৮ পিএম
শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা পালিত

আত্মশুদ্ধি ও অশুভকে বর্জন করে সত্য ও সুন্দরকে বরণ করার মধ্য দিয়ে খাগড়াছড়ির বৌদ্ধধর্মাবলম্বীরা পালন করছেন অন্যতম ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা। 

বুধবার (২০ অক্টোবর) ভোরে যথাযথ ধর্মীয় গাম্ভীর্যে মঙ্গলসূত্র পাঠের মধ্য দিয়ে প্রবারণা পূর্ণিমার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। প্রবারণা পূর্ণিমার মধ্য দিয়ে বৌদ্ধভিক্ষুদের তিন মাসব্যাপী বর্ষাবাস পালন শেষ হয়।

সকালে জেলা শহরের সবচেয়ে পুরোনো বৌদ্ধমন্দির ‘য়ংড বৌদ্ধবিহারে’ পুণ্যার্থীরা ভিড় করেন। প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে বুদ্ধপূজা, সংঘদান, অষ্টপরিষ্কার দান, বুদ্ধমূর্তি দান, হাজার বাতি দান, পিণ্ডদানসহ নানাবিধ দানানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। পরে বুদ্ধের স্মরণে বিভিন্ন ফল ও হরেক রকমের পিঠাপুলি বৌদ্ধ ভিক্ষুকে প্রদান করেন বৌদ্ধধর্মের বয়স্ক নারী পুরুষরা। 

এ উৎসবকে ঘিরে জেলার বিভিন্ন বৌদ্ধবিহারগুলোতে বিরাজ করছে এক উৎসবমুখর পরিবেশ। বৌদ্ধবিহারগুলোতে সমাবেশ ঘটেছে বৌদ্ধভিক্ষুসহ বৌদ্ধ নর-নারীদের। এছাড়া প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে বিশেষ ধর্মীয় আলোচনা সভা ও সন্ধ্যায় রিছিমি অর্থাৎ নদীতে প্রদীপ জ্বালিয়ে ভাসিয়ে দেওয়ার কর্মসূচি রয়েছে।

খাগড়াছড়ি জেলা সদরে অন্যান্য বৌদ্ধবিহারের মধ্যে ধর্মপুর আর্য বনবিহার, সিবলী বৌদ্ধবিহার, মিলনপুর বৌদ্ধবিহার, বৈজয়ন্তী বৌদ্ধবিহার, পানখাইয়া পাড়া ধর্মরাজি বৌদ্ধবিহারে যথাযথ গুরুত্বসহকারে শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা পালিত হচ্ছে।

আড়াই হাজার বছর আগে গৌতম বুদ্ধ বুদ্ধত্ব লাভের পর আষাঢ়ি পূর্ণিমা থেকে আশ্বিনী তিথি পর্যন্ত তিন মাস বর্ষাবাস পালন শেষে প্রবারণা উৎসব পালিত হয়। প্রবারণা পূর্ণিমার পরদিন থেকে এক মাস প্রতিটি বৌদ্ধবিহারে শুরু হবে দানোত্তম শুভ কঠিন চীবরদান উৎসব। 

Link copied!