• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২০ মুহররম ১৪৪৫

নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে, বন্যার শঙ্কা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ১৬, ২০২১, ০১:৩৪ এএম
নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে, বন্যার শঙ্কা

বিভিন্ন নদ-নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে মহারশী, চেল্লাখালী, ভোগাই, ব্রহ্মপুত্র, মুহুরী, খোয়াই ও কংস। 

বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্যে জানা গেছে, অব্যাহত ভারি বৃষ্টি এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলে আগামী তিন দিনের মধ্যে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সিলেটের বিভিন্ন এলাকা ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে চট্টগ্রামের পার্বত্য এলাকায় বন্যা দেখা দিতে পারে। ব্রহ্মপুত্র, যমুনা ও পদ্মার পানি বাড়ছে, যা আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। গঙ্গা নদীর পানি কমছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।

শেরপুর: চারদিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের মহারশী, চেল্লাখালী, ভোগাই নদী ও ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বেড়েছে। ইতোমধ্যে ভোগাই নদীর পানি বেড়ে নালিতাবাড়ী পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশী নদীর পানির তোড়ে শহর রক্ষা বাঁধ ভেঙে নিম্নাঞ্চলে প্রবেশ করায় পানিবন্দী রয়েছে উপজেলার পাঁচ শতাধিক পরিবার।

বুধবার (৩০ জুন) মহারশী নদীর শহর রক্ষা বাঁধ ভেঙে ঝিনাইগাতীতে ৪০ গ্রাম, ভোগাই নদের পাঁচটি অংশে বাঁধ ভেঙে নালিতাবাড়ীতে পাঁচ গ্রাম ও সদর উপজেলার পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আল মাসুদ।

ফেনী: জেলার কয়েকটি উপজেলায় অতিবৃষ্টি ও ত্রিপুরার পাহাড়ি ঢলে ফেনীর মুহুরী নদীর তিনিটি স্থানে ভাঙন, প্লাবিত হয়েছে ১০টি গ্রাম। নদীর পানি বিপৎসীমার ১১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে৷

বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল থেকে টানা বৃষ্টিতে ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা সদরের উত্তর দৌলতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠের পাশে, পরশুরামের সাতকুচিয়া ও জয়পুর এলাকায় মুহুরী নদীর-নদী রক্ষা বাঁধের ভাঙন দেখা দেয়। এতে দরবার পুর ইউনিয়নের জগতপুর গ্রাম ও সদর ইউনিয়নের উত্তর দৌলতপুর গ্রাম, পরশুরামের সাতকুচিয়া, জয়পুরসহ ১০ প্লাবিত হয়েছে।

এছাড়াও ফুলগাজী বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় বন্যা বাড়ছে। দোকান-পাট ও ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে পানি ডুকে পড়েছে। আরো কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বন্যার পানিতে ডুবে রয়েছে রাস্তা ঘাট, ফসলের জমি। ভেসে গেছে পুকরের মাছ। স্থানীয়রা জানায়, ত্রুটিপূর্ণ বাঁধ নির্মাণের কারণে প্রতি বছরই সামান্য বৃষ্টি হলে নদী রক্ষা বাঁধে ভাঙনের দেখা দেয়।

ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহির উদ্দিন বলেন, টানা বৃষ্টিতে বিপৎসীমার ১১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে মুহুরী নদীর পানি। পানির অতিরিক্ত চাপের কারণে বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ এলাকা পরিদর্শন করে মেরামতের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

আজ বিকালের দিকে ভাঙনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ উল-হাসান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহির উদ্দিন। জেলা প্রশাসক ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার লোকজনকে ত্রাণ সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দেন এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডকে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ দ্রুত মেরামত করার জন্য অনুরোধ করেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহির উদ্দিন বলেন, পানি একটু কমলেই মেরামতের কাজ শুরু করা হবে।

Link copied!