শ্রীলঙ্কা হায়দরাবাদে আগে ব্যাট করে ৩৪৫ রানের টার্গেট দেয় পাকিস্তানকে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩৭ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ম্যান ইন গ্রিনরা। তৃতীয় উইকেটে ইনিংসের অষ্টম ওভারেই ব্যাট হাতে মাঠে নামেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। এরপর ধুঁকতে থাকা পাকিস্তানকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যেতে আবদুল্লাহ শফিকের সঙ্গে জুটি গড়ে রিজওয়ান। শফিক সেঞ্চুরি করে আউট হলেও বিশ্বরেকর্ড গড়ে পাকিস্তানকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন এই উইকেটকিপার ব্যাটার।
এদিন মাঠে প্রায় ৪০ ওভার পর্যন্ত ব্যাট করেছেন রিজওয়ান। এত দীর্ঘ সময় মাঠে থাকলে ক্র্যাম্প বা পেশিতে টান লাগা স্বাভাবিক বিষয়। এই ব্যাটারের ক্ষেত্রে ঠিক সেটাই ঘটেছে। ফিফটির পরেই হ্যামস্ট্রিংয়ের টান পড়ে রিজওয়ানের। টিভিতে দেখে মনে হচ্ছিল রান-আপে সমস্যা হচ্ছে তার। কিন্তু তারপরও খেলা চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। একপর্যায়ে ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসের ৩৭তম ওভারে ছক্কা হাঁকিয়ে ক্র্যাম্পের ব্যথায় মাটিতে শুয়ে পড়েন। পরে খেলেছেন দুর্দান্ত এক ইনিংস। তবে ম্যাচ-পরবর্তী প্রেজেন্টেশনে এসে রিজওয়ান বললেন, ক্র্যাম্পে ব্যথার পাশাপাশি কখনো কখনো তিনি ব্যথার অভিনয়ও করেছেন।
ম্যাচসেরার পুরস্কার নিতে আসার সময় তাই রিজওয়ানকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, তার আসলেই ক্র্যাম্প (পেশিতে টান পড়া) হচ্ছিল কি না। এর উত্তরে, ধোঁয়াশাই রেখে দেন রিজওয়ান। এই উইকেটরক্ষক বলেন, “কখনো কখনো এটা ক্র্যাম্প, কখনো কখনো এটা অভিনয়।”
নিজের ইনিংস নিয়ে রিজওয়ান বলেন, “এমন পারফরম্যান্স করলে সব সময়ই গর্ব হয়। কাজটা কঠিন ছিল। তবে এভাবে রান তাড়া করার পর তা সত্যিই বিশেষ কিছু। বোলিং ইনিংসের পর ড্রেসিংরুমের সবাই আত্মবিশ্বাসী ছিল যে, আমরা এই রান তাড়া করতে পারব।”
পাকিস্তান ব্যাটার আরও বলেন,“দুর্ভাগ্যবশত তারা বাবর আজমকে দ্রুতই আউট করে, তবে এরপর আমরা ভালো জুটি পেয়েছি। ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো উইকেট। আমি আব্দুল্লাহ শফিককে বলেছি যে, ধাপে ধাপে এগোতে হবে।”