এশিয়া কাপের সুপার ফোরে নিজেদের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে মাত্র ১৯৪ রানের টার্গেট দিয়েছে বাংলাদেশ। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে অল্প টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে কিছুটা দেখে-শুনে শুরু করে পাকিস্তানের দুই ওপেনার। ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেটে দলটি করে ৩৭ রান। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পাকিস্তানের সংগ্রহ ১৩ ওভারে ১ উইকেটে ৫৬ রান।
ছোট্ট টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ধীর গতিতেই করে দুই ওপেনার ইমাম উল হক ও ফখর জামান। ৯ ওভারে তোলেন ৩৫ রান। এরপর শরীফুলের আঘাত। ৩ চারে ৩১ বলে ২০ রান করা ফখরকে ফেরান শরীফুল ইসলাম।
আগের ম্যাচে পরিকল্পনা সফল হলেও সুপার ফোরে সেটা কাজে আসেনি। দুই দিন আগে সেঞ্চুরি হাঁকানো মিরাজ সুপার ফোরে প্রথম ম্যাচে সুপার ফ্লপ। ম্যাচের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই শূন্য রান করে ফেরেন এই অলরাউন্ডার। নাসিম শাহের শর্ট অব লেংথ বলে ফ্লিক করতে গিয়ে মিডউইকেটে ফখর জামানের হাতে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেছেন মিরাজ। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে প্রথম উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ, স্কোরবোর্ডে কোনো রান ওঠার আগেই। আগের ওভারে শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে কোনো রান নিতে পারেননি মোহাম্মদ নাঈম।
নাঈম শেখের সঙ্গে জুটি গড়তে আসেন সুস্থ হয়ে দলে জায়গা পাওয়া লিটন দাস। দারুণ খেলতেও থাকেন তিনি। ২২ বলে এই জুটি তুলে ফেলে ৩১ রান। এরপরই বিদায় লিটনের। আফ্রিদির অফ স্টাম্পের বাইরে শর্ট অব লেংথ থেকে লাফিয়ে ওঠা বলে খোঁচা দিয়েছেন লিটন। ব্যাটের কানায় লেগে ক্যাচ গেছে রিজওয়ানের কাছে। মৃত্যু হয় ৪ চারে ১৬ রান করা লিটনের ইনিংস। হারিস রউফের বলে দলীয় ৪৫ রানের সময় বিদায় নেন ২০ রান করা নাঈম শেখ।
আবারও ব্যাট হাতে ব্যর্থ তাওহীদ হৃদয়। হারিস রউফের গতিতে পরাস্ত তাওহিদ হৃদয়। ঘণ্টায় ১৪৫ কিলোমিটার গতির বলটি ব্যাট ঘুরিয়ে খেলতে গিয়ে মিস করেছেন পুরোপুরি। দশম ওভারে বাংলাদেশ হারিয়ে ফেলেছে চতুর্থ উইকেট, স্কোরবোর্ডে ৪৭ রান। হৃদয় করেন মাত্র দুই রান।
শুরুর চাপ সামলে পঞ্চম উইকেটে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম। ১২০ বলে ১০০ রানের জুটি গড়েন সাকিব-মুশি। সাকিব তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৫৪তম অর্ধশত। তবে অর্ধশত হাঁকানোর কিছুক্ষণ পরই আউট হন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ৫৭ বলে ৭টি চারে ৫৩ রান করে থামেন তিনি।
সাকিবের পর ব্যাট হাতে অর্ধ-শতকের দেখা পান মুশফিকও। দুর্দান্ত ব্যাটিং করতে থাকা অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার ৬৪ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরলে আবারও ধস নামে টাইগারদের ব্যাটিংয়ে। শামীম হোসেন, আফিফ কেউই দায়িত্বশীল ব্যাটিং করতে না পারায় শেষ পর্যন্ত ১৯৩ রানে থামে বাংলাদেশের ইনিংস।
পাকিস্তানের পক্ষে এদিন বল হাতে দারুণ সফল ছিলেন হারিস রউফ। ১৯ রান দিয়ে ৪ উইকেট লাভ করেন তিনি। এছাড়া নাসিম শাহ পেয়েছেন তিন উইকেট।