২৬ জুলাই থেকে শুরু হচ্ছে প্যারিস অলিম্পিক। আর ১৫ দিন বাকি থাকলেও এখনও প্রস্তুতি শেষ হয়নি। শুরু হওয়ার আগেই বিপাকে অলিম্পিক আয়োজকরা। বেশ কয়েকটি সমস্যায় পড়েছে তারা।
প্যারিস অলিম্পিকে নিরাপত্তা কেমন থাকবে তার যে নীল নকশা তৈরি করা হয়েছিল, সেটা নাকি চুরি হয়ে গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, এক ইঞ্জিনিয়ারের কাছে নকশাটি ছিল। তিনি সেটি একটি কম্পিউটারে রেখেছিলেন। কিন্তু তার ব্যাগ চুরি হয়ে যায়। তার মধ্যেই ছিল কম্পিউটার।
অলিম্পিক শুরুর আগেই প্যারিসের বিমানবন্দরের কর্মীদের সংগঠন ধর্মঘটের হুঁশিয়ারি দিয়েছে। তাদের অভিযোগ, বিমানবন্দরের অনেক কর্মী বোনাস পাননি। কিছু কর্মীকে অবসরকালীন ভাতা দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ। অলিম্পিকের সময় প্যারিসের দু’টি বিমানবন্দরে গড়ে সাড়ে ৩ লাখ যাত্রী যাতায়াত করবেন। যদি কর্মীরা ধর্মঘটে থাকেন, তা হলে যাতায়াতে সমস্যা হবে। সে ক্ষেত্রে মুখ পুড়বে আয়োজকদের।
অলিম্পিক আয়োজনে যে বাজেট ধরা হয়েছিল, তা বেড়েই চলেছে। গত চার বছরে বাজেট বাড়তে বাড়তে ৫০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। তার একটা বড় অংশ জনগণের কর থেকে পাওয়া যাবে। কিন্তু বাকিটা কীভাবে আসবে তা নিয়ে সরকার সমস্যায় পড়েছে।
অলিম্পিক উপলক্ষে বিভিন্ন দেশের মানুষ প্যারিসে যাবেন। অলিম্পিকের বিভিন্ন খেলার ভেন্যুগুলোকে দু’টি মেট্রো লাইনের মাধ্যমে সংযোগ করা হবে। কিন্তু সেই কাজ এখনও শেষ হয়নি। অলিম্পিক চলাকালীন যানজটের সমস্যা মেটানো সরকারের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।
প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁর দল রেনেসাঁ পার্টির নেতৃত্বাধীন এনসেম্বল জোট রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। পার্লামেন্ট নির্বাচনের ফলাফলের নিরিখে আসনসংখ্যায় শীর্ষে চলে আসছে বামপন্থী দলগুলির জোট নিউ পপুলার ফ্রন্ট। এই জোটও সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আসন ২৮৯ থেকে অনেক দূরে। নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত না হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন আয়োজকেরা। কেউ কেউ মনে করছেন, অলিম্পিকের সময় রাজনৈতিক অস্থিরতা থাকলে, বিশ্বের সামনে ফ্রান্সের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।