• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫
বিপিএল

কুমিল্লার টানা চতুর্থ জয়ের দিনে ঢাকার টানা পঞ্চম হার


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৩, ২০২৩, ১০:১৮ পিএম
কুমিল্লার টানা চতুর্থ জয়ের দিনে ঢাকার টানা পঞ্চম হার
ফাইল ছবি

ইমরুল কায়েস ও পরে জনসন চার্লস, খুশদিল শাহ ও শেষদিকে জাকের আলির ব্যাটে ১৬৪ রানের লড়াকু সংগ্রহ পেয়েছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। তবে মাঝাড়ি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমেও ব্যাটারদের যাওয়ার আসার মিছিলেন মাত্র ১০৪ রানে শেষ হয়েছে ঢাকা ডনিটেরসের ইনিংস। ৬০ রানে ঢাকাকে হারিয়ে আসরে টানা চতুর্থ জয় তুলে নিয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) চলতি বিপিএলে দিনের দ্বিতীয় খেলায় টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে দলীয় চার রানেই মোহাম্মদ রিজওয়ানের উইকেট হারায় কুমিল্লা। প্রথমে ভুগলেও যখনই খোলস ছেড়ে বের হওয়া শুরু করেন তখনও লিটনকে ফিরিয়ে দেন ঢাকা অধিনায়ক নাসির হোসেন। ২০ বলে ২০ রানের ইনিংস এসেছে লিটনের ব্যাট থেকে।

৩৫ রানে দুই উইকেট হারানোর পর অধিনায়ক ইমরুল কায়েসের ব্যাটে এগোতে থাকে কুমিল্লা। তবে ২৯ রানের ব্যবধানে কায়েসও ফিরে যান। এরপর পাল্টা আক্রমণে খেলা নিজেদের নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টা করেন কুমিল্লার ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ব্যাটার জনসন চার্লস।

কিন্তু দলীয় ৯৩ রানে মোসাদ্দেকের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে চার্লস রানআউট হয়ে ফিরলে সেই আক্রমণে ছেদ পড়ে। ফেরার আগে চার্লসের ব্যাট থেকে এসেছে ২৫ বলে দুই ছক্কা ও এক চারে ৩২ রানের ইনিংস।

আগের ম্যাচে ঝড়ো ফিফটি করা খুশদিল এ ম্যাচে মুখোমুখি প্রথম দুই বলেই বাউন্ডারি হাঁকান। তবে তিনিও বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ। ১৭ বলে ৩০ রান করা খুশদিলকে ফেরান ঢাকার পেসার তাসকিন আহমেদ।

শেষদিকে ব্যাট হাতে ১০ বলে সমান একটি করে চার ও ছক্কায় ২০ রানের ক্যামিও খেলেন জাকের আলি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ছয় উইকেট হারিয়ে ৬৪ রানের সংগ্রহ পেয়েছিল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।  

জবাবে ব্যাটিং করতে নেমে পাওয়ার প্লেতেই দলীয় ১৬ রানে তিন উইকেট হারিয়ে শুরুতেই চাপে পড়ে ঢাকা। একে একে ফিরে যান মিজানুর রহমান, সৌম্য সরকার ও মোহাম্মদ মিঠুন।

চলতি বিপিএলে ব্যাট হাতে ঢাকাকে প্রায় একা টেনে যাওয়া অধিনায়ক নাসির হোসেনও এদিন ব্যর্থ। দলীয় ৪২ রানে ফেরার সময় তার নামের পাশে যোগ হয়েছে মাত্র ১৭ রান।

পুরো ইনিংসেই নিয়মিত বিরতিতে ঢাকার ব্যাটারদের আসা যাওয়ার মিছিল লেগেই ছিল। তবে অন্যদের ব্যর্থতার দিনে একপাশ আগলে রেখেছিলেন ঢাকার আফগান ব্যাটার ওসমান গনি।

দলীয় ৬২ রানে আরিফুল হকের বিদায়ের পর ১৪ রানের ব্যবধানে ফেরেন মুক্তার আলী। এরপর তো রীতিমতো তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ঢাকার ব্যাটিং লাইনআপ। তিন রানের ব্যবধানে দুই উইকেট হারায় দলটি।

ইনিংসের শেষ ওভারে এক পাশ আগলে উসমানকেও হারায় ঢাকা। যদিও ততক্ষণে হার নিশ্চিত হয়েছে দলটির। ফেরার আগে এই ব্যাটার করেন ৩৪ বলে ৩৩ রান। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১০৪ রানে থামে ঢাকার ইনিংস। ৬০ রানে হেরে টানা ষষ্ট হার দেখলো ঢাকা।

Link copied!