নিজেদের দ্বিতীয় প্রস্তুতি ম্যাচে হারল বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের কাছে বৃষ্টি আইনে ৪ উইকেটে হেরেছে টাইগাররা। এই ম্যাচেও ব্যাট হাতে দারুণ ব্যাট করেন তানজিদ হাসান তামিম ও মেহেদি হাসান মিরাজ।
গৌহাটিতে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। ওপেনিংয়ে নেমে দৃষ্টিনন্দন সব শট খেলতে থাকেন তানজিদ হাসান তামিম। মারমুখি ব্যাটিংয়ে রান তুলতে থাকেন তিনি। কিন্তু দ্রুত ফেরেন সঙ্গী লিটন দাস এবং তিন নম্বরে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত।
এর মাঝেও অবিচল ছিলেন তামিম। ফিফটির খুব কাছে চলে যান তিনি। তবে শেষমেশ অর্ধশতকটা ছোঁয়া হয়নি তার। ৪৪ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেলে সাজঘরে ফিরে যান বাঁহাতি ব্যাটার। পরে দলকে টানেন মেহেদী হাসান মিরাজ। সাবলীল ব্যাটিংয়ে দারুণ হাফসেঞ্চুরি হাঁকান তিনি। ৮৯ বলে ৭৪ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে বিদায় নেনেএই অলরাউন্ডার।
বৃষ্টির কারণে ৩৭ ওভারে নেমে আসে ম্যাচ। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেট হারিয়ে ১৮৮ রানের লড়াকু সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশ। ১২ বলে ১২ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন তাসকিন আহমেদ। ইংল্যান্ডের হয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন রিস টোপলি। ২টি করে উইকেট তোলেন আদিল রশিদ ও ডেভিড উইলি।
ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে ইংল্যান্ডের লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৯৭। ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় তারা। মুস্তাফিজুর রহমানের শিকার হয়ে ফেরেন ডেভিড মালান। তবে আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন জনি বেয়ারস্টো। একপর্যায়ে তাকেও ফেরান কাটার মাস্টার ফিজ। ফেরার আগে ২১ বলে ৩৪ রানের ইনিংস খেলেন ইংলিশ ওপেনার।
ওয়ানডাউনে নেমে একপ্রান্ত ধরে এগোতে থাকেন জো রুট। আরেকদিকে হ্যারি ব্রুক খেলেন ১৭ রানের ক্যামিও। ব্রুককে ফিরিয়ে তাদের জুটি ভাঙেন হাসান মাহমুদ।
পরে অধিনায়ক জস বাটলার নেমেই শুরু করেন বেধড়ক পিটুনি। তার আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ইংল্যান্ডের রানের চাকা ঘুরতে থাকে। এ পরিস্থিতিতে তাকে থামান শরিফুল ইসলাম। ১৫ বলে ৩০ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলে বাটলার।
এতে ইংলিশদের রানের গতি থামে। পরে লিয়াম লিভিংস্টোনকে তুলে নিয়ে খেলা জমিয়ে তোলেন তাসকিন আহমেদ। কিন্তু জো রুট ও মঈন আলী মিলে পরিস্থিতি সামাল দেন। ধীরে সুস্থে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ইংলিশরা। ৭৭ বল হাতে রেখে বৃষ্টি আইনে ৪ উইকেটের জয় তুলে নেয় তারা। ৪০ বলে ২৬ রানের মন্থর ইনিংস খেলে অপরাজিত ছিলেন রুট। আর শেষ মুহূর্তে আউট হওয়ার আগে ৩৯ বলে ৫৬ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন মঈন। বাংলাদেশের হয়ে ২ উইকেট শিকার করেন মুস্তাফিজ। এছাড়া ১টি করে উইকেট নেন শরিফুল, হাসান ও তাসকিন।