• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

কাতারি সংস্কৃতির ‘বাহক’ আহমাদ বিন আলি স্টেডিয়াম


পার্থ প্রতীম রায়
প্রকাশিত: নভেম্বর ১৮, ২০২২, ০২:৫১ পিএম
কাতারি সংস্কৃতির ‘বাহক’ আহমাদ বিন আলি স্টেডিয়াম

বিশ্বকাপ আয়োজনের দায়িত্ব পেলেও ফুটবল সংস্কৃতিতে একদমই নতুন কাতার। স্বাভাবিকভাবেই ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’ খ্যাত বিশ্বকাপ আয়োজনে তাদেরকে তৈরি করতে হয়েছে কয়েকটি নতুন স্টেডিয়াম। এর মধ্যে ব্যতিক্রম কাতারের আহমাদ বিন আলি স্টেডিয়াম। ঘরোয়া ফুটবলে আগে থেকেই নিয়মিত স্টেডিয়ামটি ব্যবহার করা হতো।

কাতারের রাজধানী দোহা থেকে ২০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত আল রাইয়ান শহরে স্টেডিয়ামটির অবস্থান। আহমদ বিন আলি স্টেডিয়ামকে ঘরোয়া ফুটবলে নিজেদের মাঠ হিসেবে ব্যবহার করে কাতারের জনপ্রিয় ফুটবল ক্লাব আল রাইয়ান এসসি। তাদের সাথে একই স্টেডিয়াম ভাগাভাগি করতো আল খারিথিয়াত ক্লাবও।

২০০৩ সালে প্রথমবারের মতো আহমদ বিন আলি স্টেডিয়াম নির্মিত হয়। শুরুর দিকে একসঙ্গে বসে ২১ হাজার দর্শক খেলা উপভোগ করতে পারতেন। বিশ্বকাপ উপলক্ষে অবশ্য বেড়েছে স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা। কাতার বিশ্বকাপ চলাকালীন ৪০ হাজার দর্শক একসঙ্গে বসে খেলা উপভোগ করতে পারবেন।

বিশ্বকাপ উপলক্ষে নির্মিত স্টেডিয়ামগুলোতে কাতারি সংস্কৃতির ছোঁয়া রাখার চেষ্টা করেছে আয়োজকরা। এরই ধারাবাহিকতায় আহমদ বিন আলি স্টেডিয়ামেও রাখা হয়েছে কাতারি সংস্কৃতির ছাপ। স্টেডিয়ামের বাইরের অংশ এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে বিভিন্ন জ্যামিত্যিক আকৃতি বোঝা যায়। স্টেডিয়ামের বাইরের এই জ্যামাতিক আকৃতি কাতারের বিভিন্ন ঐতিহ্য তুলে ধরেছে।

আহমদ বিন আলি স্টেডিয়াম শুধুমাত্র ফুটবলের উদ্দেশ্যেই নির্মিত হয়নি। প্রয়োজন সাক্ষেপে অন্য খেলার জন্য ব্যবহার করা যাবে। তাতে এক স্টেডিয়ামেই বিভিন্ন সময় বিভিন্ন খেলার স্টেডিয়াম হিসেবে ব্যবহার করা যাবে বলে ধারণা কর্তৃপক্ষের।

স্টেডিয়ামটিতে আছে অ্যাথলেটিক্স ও সাইকেলিং ট্র্যাক, ক্রিকেট পিচ, টেনিস কোর্ট ও জিম সুবিধা। এছাড়াও স্কেটিং পার্ক ও অ্যাকুয়াটিকস সেন্টারও যুক্ত করা হয়েছে আহমদ বিন আলি স্টেডিয়ামে। প্রয়োজন অনুযায়ী এইসব ইভেন্টও আয়োজনের জন্যও স্টেডিয়ামটিকে ব্যবহার করা যাবে।

বিশ্বকাপ উপলক্ষ্যে নতুন করে সংস্কার কাজ শেষ হওয়ার পর আল রাইয়ান স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজারে। ২০২০ সালে আমির কাপ ফাইনাল দিয়ে স্টেডিয়ামটির উদ্বোধন করা হয়। বিশ্বকাপ শেষে অতিরিক্ত খরচ বাঁচাতে স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা পুনরায় ২০ হাজারে নামিয়ে আনা হবে।

আহমদ বিন আলি স্টেডিয়ামকে বেশ প্রাধান্য দিয়েছে কাতার সরকার। এডুকেশন সিটির সন্নিকটে অবস্থিত স্টেডিয়ামটির জন্য তাই আলাদা একটি মেট্রো স্টেশনও তৈরি করেছে।

স্টেডিয়ামটির মাধ্যমে বিশ্ববাসীকে নিজেদের মরুভূমির বিষয়টি জানাতে চায় কাতার। ফলে স্টেডিয়ামে আসলে ফুটবল সমর্থকরা মধ্যপ্রাচ্যের মরুভূমির পরিবেশ উপভোগ ও অনুধাবন করার সুযোগ পাবেন। এছাড়াও স্টেডিয়ামের পাশে থাকা বড় ভবনগুলো তুলে ধরবে কাতারের প্রাচীন স্থানীয় সংস্কৃতি।

আহমদ বিন আলি স্টেডিয়ামে আয়োজিত হবে বিশ্বকাপের ৭ টি ম্যাচ। গ্রুপ পর্বের ছয় ম্যাচে পাশাপাশি শেষ ১৬-র একটি ম্যাচের ভেন্যুও এই মাঠ।

Link copied!