• ঢাকা
  • সোমবার, ২০ মে, ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

২৬ বছর আগে এই দিনে: বাংলাদেশ ক্রিকেটে সোনালি সূর্যোদয়


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ১৩, ২০২৩, ০১:৪৬ পিএম
২৬ বছর আগে এই দিনে: বাংলাদেশ ক্রিকেটে সোনালি সূর্যোদয়

বাংলাদেশে একসময় মোহামেডান-আবাহনী নামে দর্শকরা রোমাঞ্চে মেতে থাকত। দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ছিল ফুটবল। স্টেডিয়ামের তারকাঁটার দেয়াল টপকে দর্শকদের ভেতরে হুমড়ি খেয়ে পড়ার দৃশ্য দেখা যেত হরহামেশাই। তবে দৃশ্যপটে ধীরে ধীরে আসে পরিবর্তন। একসময় ক্রিকেট হয়ে ওঠে জনপ্রিয় খেলা। 

ফুটবলের জনপ্রিয়তা যখন তুঙ্গে, তখন ক্রিকেটে ‍‍`কেবল অংশগ্রহনই বড় কথা‍‍`- ভাবখানা ছিল এমন। সময় পাল্টাতে থাকে। আইসিসি ট্রফি টুর্নামেন্টে নিয়মিতই অংশগ্রহণ করত বাংলাদেশ। ১৯৮২ ও ১৯৯০ সালের আসরে অল্পের জন্য শিরোপা ধরা দেয়নি। তবে ১৯৯৭ সালে ট্রফি নিয়েই ঘরে ফেরে টাইগাররা। 

১৯৯৭ সালের ১৩ এপ্রিল । 

কুয়ালালামপুরের কিলাত কিলাব মাঠে কেনিয়াকে ২ উইকেটে হারিয়ে আইসিসি ট্রফির রোমাঞ্চকর ফাইনালে শিরোপা জিতে নেয় বাংলাদেশ। ইতিহাসের সূচনা হয়েছে এখানেই, নির্মাণ হয়েছে সেই সময়ের আগামীর বর্তমান। সাবেক তারকা ক্রিকেটার আকরাম খানের  নেতৃত্বে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশ তার সামর্থ্যের প্রমাণ রাখে। সেবারই বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে বাংলাদেশ। ঘটনাটা ঠিক ২৬ বছর আগের। তবে যে ঘটনা বদলে দিয়েছে ক্রিকেটের গতিপথ, এনে দিয়েছে সম্মান, মর্যাদা- সেই দিনটি অমলিন থাকবে আজীবন।

 ১২ এপ্রিল নির্ধারিত ছিল ফাইনালের দিন। প্রথমে ব্যাট করা কেনিয়া স্টিভ টিকোলোর অনবদ্য সেঞ্চুুরিতে ৭ উইকেটে ২৪১ রান তোলে। কেনিয়ার ইনিংস শেষ হওয়ার সাথে সাথে শুরু হয় বৃষ্টি। মাঠ শুকানো হয় হেলিকপ্টার দিয়ে। তবে ওইদিন আর খেলার বাকি অংশ হয়নি। ফাইনাল গড়ায় পর দিন ১৩ এপ্রিল।

এরপর কেবল ইতিহাস রচনা। ডিএল সিস্টেমে পড়ে ম্যাচ, বাংলাদেশের সামনে নতুন লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৫ ওভারে ১৬৬ রান। শেষ ওভারে দরকার ছিল ১১ রান। খালেদ মাসুদ পাইলটের ব্যাট থেকে আসে ছয়।

তবে শেষ বলে দরকার ছিল ১ রান। মার্টিন সুজির করা ইনিংসের শেষ বলটা হাসিবুল হাসান শান্তর পায়ে লেগে শর্ট ফাইন লেগে চলে যায়। ব্যাটে বল ছোঁয়াতে পারেননি ব্যাটার, তাতে কী? প্রান্ত বদল করতে ভুল করেননি শান্ত ও হাবিবুল বাশার সুমন। তাতেই বাংলাদেশের স্বপ্নপূরণ! আইসিসি ট্রফিতে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ।

সত্যিই সে জয় অসাধারণ, ঐতিহাসিক। তাইতো ২৬ বছর পরও মনে হচ্ছে যেন এইতো চোখের সামনেই বিজয়ীর বেশে টাইগাররা।

 

Link copied!