দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মিরপুর টেস্টের চতুর্থ তিন বৃহস্পতিবার সকালে মেহেদি হাসান মিরাজ আউট হন ৯৭ রানে। তার বিদায় দিয়েই বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের ইনিংস শেষ হয় ৩০৭ রানে।
এ বছর এই নিয়ে চারবার শতরানের সম্ভাবনা জাগিয়েও শেষ পর্যন্ত পারলেন না মিরাজ। গত মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে ৮১ রানে অপরাজিত রয়ে যান তিনি সঙ্গীর অভাবে। অগাস্টে পাকিস্তান সফরে রাওয়ালপিন্ডিতে পরপর দুই টেস্টে ৭৭ ও ৭৮ রানের দুর্দান্ত দুটি ইনিংস খেলে জয়ের ভিত গড়ে দেন তিনি।
এবার সেঞ্চুরির আরও কাছে গিয়ে থমকে গেলেন। যদিও দিনের শুরুতে মাইলফলকটি মনে হচ্ছিল তার নাগালেই।
মিরাজ রাবাদাকে চালিয়ে খেলার চেষ্টায় তৃতীয় স্লিপে ধরা পড়েন। ১০ চার ও ১ ছক্কার ইনিংসটি থামে ১৯১ বলে।
সেঞ্চুরি না হলেও অবশ্য ইনিংসটির ওজন কমছে না। বরং তার একমাত্র টেস্ট সেঞ্চুরি যেটি, ২০২১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১০৩ রানের সেই ইনিংসটির চেয়ে নিশ্চিতভাবেই এগিয়ে থাকবে এই ইনিংস। তিনি ক্রিজে নামার সময় দলের রান ছিল ৫ উইকেটে ১০৬।
সেখান থেকেই দলকে অনেকটা উদ্ধার করেন মিরাজ। অভিষিক্ত জাকের আলির সঙ্গে গড়েন ১৩৮ রানের জুটি, যে কোনো উইকেটে যা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের রেকর্ড জুটি।
মিরাজ রান পাওয়া মানেই নান্দনিক কিছু অফ ড্রাইভ আর কাভার ড্রাইভের প্রদর্শনী। যথারীতি এই ইনিংসেও তা ছিল। সঙ্গে ছিল স্পিনারদের বিপক্ষে দারুণ সব সুইপ। সব মিলিয়ে শুধু ইনিংস পরাজয় এড়ানোই নয়, দলকে অভাবনীয় এক জয়ের স্বপ্নও দেখায় মিরাজের ব্যাট।
এই বছর এখনও পর্যন্ত ৪৬১ রান করে দলের সর্বোচ্চ রান স্কোরার মিরাজ। অথচ তিনি ব্যাট করেছেন ৭-৮ নম্বরে, এমনকি ৯ নম্বরেও। বল হাতেও তিনি দলের সফলতম। ৭ টেস্টে শিকার ২৬টি।
শুধু এই বছর নয়, টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের এই চক্রে দলের সবচেয়ে বেশি রান (৯ টেস্টে ৫৫৪) ও সবচেয়ে বেশি উইকেট (৯ টেস্টে ৩৪টি) তার।
সব মিলিয়েই দলে এখন তিনি মহামূল্য। স্রেফ শতরানের আক্ষেপটুকু রয়ে গেল।





































