‘এফ’ গ্রুপকে মৃত্যুকূপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছিল এর চারটি দল ফ্রান্স, জার্মানি, পর্তুগাল ও হাঙ্গেরি থাকার কারণে। সেই উত্তাপ বিরাজমান ছিল গতকাল গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ পর্যন্ত। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ে ছিল হাঙ্গেরি বাদে সবাই, অন্যদিকে জার্মানি ও পর্তুগালের লড়াই ছিল অন্তত তিনে থেকে শেষ করা। সব মিলিয়ে ২-২ গোলে ড্র হয়েছে ফ্রান্স ও পর্তুগালের ম্যাচ। তাতেই দুই দল কোপেনহেগেনের পারকেন স্টেডিয়ামে শেষ ১৬ রাউন্ডে ওঠার স্বস্তি নিয়ে মাঠ ছেড়েছে।
প্রথমার্ধের ৩০তম মিনিটে বল ঘুষি মেরে সরাতে গিয়ে পর্তুগিজ তারকা দানিলো পেরেরার মুখে আঘাত করে বসেন গোলরক্ষক হুগো লরিস। ফলে পেনাল্টি পায় পর্তুগাল, গোল আদায় করেন পারদর্শী স্ট্রাইকার ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। তবে একইভাবে পেনাল্টি পেয়েছেন করিম বেনজেমাও। প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে কিলিয়ান এমবাপ্পেকে ডি বক্সে বাধা দিয়ে ফেলে দেন সেমেদো। ফলে রুই প্যাট্রিশিওকে পরাস্ত করেন বেনজেমা।
দ্বিতীয়ার্ধেও বল দখল এবং আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমে ছিল ম্যাচটি। ৪৭ মিনিটের সময় পল পগবার শট দৌড়ে গিয়ে ডি বক্সে একাকী পেয়ে যান বেনজেমা। এবারও জালে জড়াতে ভুল করেননি। অফ সাইড হয়েছে কি না, এমন আপত্তি উঠলে ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট রেয়ারির সাহায্য নিয়ে দেখা গেলো, গোল আদায় করতে সমর্থ হয়েছে ফ্রান্স। ফলে ব্যবধান বেড়ে ২-১ গোলে দাঁড়ায়। শেষ পর্যন্ত ৬০তম মিনিটে জুল কুন্দের হাতে বল লাগায় পেনাল্টি পায় পর্তুগাল। এবারও গোল আদায় করে সমতায় ফেরান দলকে।
অবশ্য পর্তুগাল তৃতীয় হওয়ার পেছনে জার্মানির অবদান আছে। জোয়াকিম লোয়ের দল শেষ পর্যন্ত ২-২ গোলে ড্র করায় দুর্দান্ত খেলা হাঙ্গেরিকে চতুর্থ হয়েই ইউরো ২০২০ যাত্রার সমাপ্তি টানতে হয়েছে। নকআউটে ফার্নান্দো সান্তোসদের প্রথম প্রতিপক্ষ শক্তিশালী বেলজিয়াম।