ধর্ষনের অভিযোগ যেন পিছুই হঠছে না পর্তুগিজ তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। ঘরের ছেলে ঘরের মাঠে (ওল্ড ট্র্যাফোর্ড) নামার পরেই ধর্ষণের অভিযোগকারী এক নারীকে সমর্থন করে একটি ব্যানার বিমানে থেকে ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের আকাশে উড়িয়ে দেন নারীবাদীরা। অবশ্য এসব কোনো কিছুই বাধা হতে পারেনি রোনালদোর জন্য। জোড়া গোল করে ঠিকই জিতিয়েছেন দলকে।
নিউক্যাসল ইউনাইটেডকে যখন ৪-১ এ উড়িয়ে দেয় শোলশায়ার শিষ্যরা। সে সময় ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের আকাশে "বিলিভ ক্যাথরিন মায়োরগা" ব্যানার সম্বলিত একটি বিমান উড়ানো হয়। যার অর্থ ক্যাথরিন মায়োরগাকে বিশ্বাস করুন।
মায়োরগা বলেন যে ২০০৯ সালে লাস ভেগাসের একটি হোটেলে রোনালদো তাকে লাঞ্ছিত করেছিলেন।
তবে রোনালদো দৃড় ও ধারাবাহিকভাবে তার বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আর অভিযোগকে 'ভুয়া খবর' বলে অভিহিত করেছেন তিনি। এছাড়া ২০১৯ সালে মার্কিন কৌঁসুলীরা তার পক্ষেই রায় দেন।
ভুক্তভোগীর অনুরোধে লাস ভেগাস পুলিশ ২০১৮ সালে রোনালদোর বিরুদ্ধে আনা অপরাধের পুনরায় তদন্ত করেছিল। কিন্তু পরবর্তী গ্রীষ্মে এই তারা এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছিল যে দাবিগুলো যুক্তিসঙ্গত সন্দেহের বাইরে প্রমাণিত হতে পারে না।
রোনালদোকে বলা হয়েছিল, তিনি ফৌজদারি অভিযোগের মুখোমুখি হবেন না।
ক্যাথরিন মায়োরগা দাবি জানিয়েছিলেন, ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দিতে তার কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন রোনালদো। সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন না হতে ৩ লাখ ৭৫ হাজার ডলারের বিনিময়ে সমঝোতাও করেন পর্তুগিজ এই তারকা। মায়োরগার আইনজীবীর উপস্থিতিতে একটি চুক্তিপত্র করেই তখন বিষয়টি সুরাহা করা হয়।
ক্যাথরিন মায়োরগা যুক্তরাষ্টের সাবেক মডেল। নাইটক্লাবের একজন প্রোমোটার হিসেবে কাজ করতেন এ সুন্দরী। লাস ভেগাসে পরিবারের সঙ্গে ছুটিতে যাওয়ার পর রোনালদোর সঙ্গে পরিচয় হয় তার।