অপরাধীকে ধরতে গিয়ে অনেক ক্ষেত্রে তিনি সত্য কথা বলছেন কি না তা যাচাই করতে বিপাকে পড়তে হয় তদন্তকারীকে। তাদের এই বিপত্তি থেকে মুক্তি দিতেই নতুন একটি প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছে ইসরায়েলের বিজ্ঞানীরা।
বিবিসি জানায়, ইসরায়েলের তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের আবিষ্কার করা প্রযুক্তি লাই ডিটেক্টর এক অভিনব পদ্ধতিতে মিথ্যাবাদীকে শনাক্ত করতে সক্ষম।
গবেষক দলের নেতৃত্বে থাকা অধ্যাপক অধ্যাপক হানেইন ও তার সহযোগী অধ্যাপক দিনো লেভি এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানান। তাদের মতে, মিথ্যাবাদীরা মূলত দুই রকমের আচরণ করে।
এক দল মিথ্যাবাদী মিথ্যা বলার সময় নিজের অজান্তেই চোখের ওপরের ভ্রু নড়াচড়া করতে থাকেন। আরেক দল মিথ্যা বলার সময় নিজের ঠোঁটের নড়াচড়া নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না।
নতুন লাই ডিটেক্টর প্রযুক্তি সফটওয়্যার ও এ্যালগরিদমের সাহায্যে এসব গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে মিথ্যা শনাক্ত ৭৩ ভাগ পর্যন্ত সফল হয়েছে। এই প্রযুক্তিকে আরো উন্নত করার চেষ্টা করছেন গবেষকরা।
বিংশ শতাব্দীর শুরুতে প্রথমবার মিথ্যা শনাক্তের যন্ত্র লাই ডিটেকটর মেশিন আবিষ্কৃত হয়। জিজ্ঞাসাবাদের সময় সন্দেহভাজন ব্যক্তির হাতের আঙুল, বাহু ও শরীরে লাগানো সেন্সর থেকে শ্বাসপ্রশ্বাসের গতি, হৃৎস্পন্দন, রক্তচাপ ও ঘাম পরিমাপ করে সত্যতা যাচাই করত। এই পদ্ধতিকে বলা হয় পলিগ্রাফ।
তবে আগের প্রযুক্তিগুলো কতটা নির্ভুল বা একে ফাঁকি দেয়া সম্ভব কিনা – তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তাই ইসরায়েলের মত আনান্য দেশগুলোও আরও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির লাই ডিটেক্টর তৈরির চেষ্টা করছে।