• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

অস্ট্রেলিয়ায় পাওয়া গেল ১০ কোটি বছর আগের প্রাণীর ফসিল


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৮, ২০২২, ০৫:৫২ পিএম
অস্ট্রেলিয়ায় পাওয়া গেল ১০ কোটি বছর আগের প্রাণীর ফসিল

প্লেসিওসর নামের একটি প্রাণী প্রাগৈতিহাসিককালে সাঁতরে বেড়াত আমাদের পৃথিবীর সমুদ্রে। ১০ কোটি বছর পর হারিয়ে গেছে সেই প্রাণী, অস্তিত্ব নেই অনেক সমুদ্রেরও। অস্ট্রেলিয়ার এমনই একটি শুকিয়ে যাওয়া সমুদ্রে মিলেছে ডায়নাসোর যুগে বাস করা প্লেসিওসরের ফসিল।

এই প্রথম গোটা একটি প্লেসিওসরের ফসিল পাওয়া গেল কোথাও। অস্ট্রেলিয়ার সেই জনবিরল স্থানে ফসিলটি খুঁজে পেয়েছেন একদল বান্ধবী। গোটা এই ফসিল খুঁজে পাওয়াকে বিরল আবিষ্কার বলছেন গবেষকরা।

প্লেসিওসর একটি সরীসৃপ প্রাণী। অর্থাৎ এরা বুকের ওপর ভর করে চলে। এদের গলা জিরাফের গলার মতো লম্বা, আর দেহ ও পাখনা দেখতে সামুদ্রিক কচ্ছপের মতো। দেহ আর পাখনা কচ্ছপের মতো হলেও, প্লেসিওসরের আকার বিশাল আর তাদের খোলসও নেই। এরা দৈর্ঘ্যে প্রায় ৫০ ফুট পর্যন্ত হতে পারত। অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডে পাওয়া এই প্রাণীটি লম্বায় প্রায় ২২ ফুট।

অস্ট্রেলিয়ার এই অঞ্চলটি একসময় সমুদ্র ছিল। সেখানে পানির নিচে ঘুরে বেড়াত বিশাল বিশাল প্রাণী। কালের বিবর্তনে সেটি এখন শুষ্ক সমতল ভূমি। আর সেখানে ঘুরে বেড়ায় মানুষ।

গবেষকরা এই প্রাণীর অক্ষত ফসিল দেখে সত্যিই খুব অবাক হয়েছেন। তারা এটিকে সামুদ্রিক জীবাশ্মবিদ্যার ‘রোসেটা পাথর’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। ১৭৯৯ সালে মিশরের রশিদ শহরে এই প্রস্তরখন্ড খুঁজে পান ফরাসি সৈন্যদলের এক প্রকৌশলী। পাথরটি এখন ব্রিটিশ জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। ফরাসি ভাষায় আরবি রশিদ শব্দটির সমার্থক শব্দ রোসেটা। বিশাল এই পাথর খণ্ডের লেখা থেকে পাঠোদ্ধার করে প্রাচীন মিশরের ইতিহাস সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গিয়েছিল। বিষদভাবে জানা গিয়েছিল প্রাচীন লেখার পদ্ধতি হায়ারোগ্লিফিকস সম্পর্কেও।

তাই একইভাবে প্লেসিওসরের ফসিলটি থেকেও এর আদ্যোপান্ত জানতে পারা যাবে বলে আশা গবেষকদের। জানা যাবে লম্বা গলার প্রাণীটির বিবর্তন সম্পর্কেও। পাশাপাশি, এই ফসিলটির তুলনা করা যাবে এখন পর্যন্ত পাওয়া প্রাণীটির অন্যান্য ফসিলগুলোর সঙ্গে। এর মাধ্যমে এই প্রাণীর অন্যান্য প্রজাতি সম্পর্কে জানা যাবে আরও গভীরভাবে। পাওয়া যাবে প্রাণীটি সম্পর্কে অজানা অনেক প্রশ্নের উত্তর।

Link copied!