পবিত্র রমজান মাসে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে ১০টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) দুপুরে গুলশানে ডিএনসিসির নগর ভবনে এক কর্মশালায় তিনি এ কথা জানান।
পবিত্র রমজান উপলক্ষে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে ইফতার প্রস্তুতকরণ ও বিপণনে জড়িত ব্যবসায়ীদের নিরাপদ খাদ্যবিষয়ক সচেতনতামূলক এ কর্মশালার আয়োজন করে ডিএনসিসি। এ কর্মশালায় রাজধানীর মিরপুর, মোহাম্মদপুর, কারওয়ান বাজার, মহাখালীর দুই শতাধিক রেস্তোরাঁ মালিক ও কর্মী অংশ নেন।
মেয়র আতিকুল বলেন, “নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে জনসচেতনতামূলক প্রচারণা দরকার। এ জন্য এক রেস্তোরাঁর মালিক আরেক রেস্তোরাঁয় গিয়ে ভুল ধরিয়ে দিতে পারেন। এভাবে প্রত্যেককে সচেতন করতে হবে।”
নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে না পারলে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম সুস্থ থাকবে না জানিয়ে ডিএনসিসি মেয়র বলেন, “নগরে অনেক রেস্টুরেন্ট ভালো থাকলেও চটপটি, পরোটার দোকানগুলোতে নিরাপদ খাদ্য নেই। এগুলোতে বিশেষ নজর দিতে হবে।”
এছাড়া রমজানে মানসম্মত খাবার ও স্ট্রিট ফুড নিরাপদ নিশ্চিতে ডিএনসিসি এলাকায় ১০০টি খাদ্যের গাড়ি নামানো হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র আতিকুল ইসলাম।
আতিকুল ইসলাম বলেন, “এ গাড়িগুলোর লাইসেন্স দেওয়া হবে সুবিধাবঞ্চিত তৃতীয় লিঙ্গ, বিধবা ও অসহায় নারীদের জন্য। এটি সফল হলে রাস্তায় আরও ১০০টি ফুডের গাড়ি দেওয়া হবে।”
মেয়র আরও বলেন, “রমজানে কেউ খাদ্যে ভেজাল দিলে আইনের যত ধারা আছে, তার প্রয়োগ করা হবে। পৃথকভাবে ডিএনসিসির দশটি অঞ্চলিক কর্মকর্তারা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবেন।
ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. কাইউম সরকার, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, এফ এ এ এর চিফ টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজার জন টেইলর প্রমুখ।
