রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলে সেন্টমার্টিন পরিবহনের বাসের ধাক্কায় একই পরিবারের তিনজন নিহত হন। এ ঘটনায় ঘাতক বাসের চালক ও সহকারীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তারা ঘটনার পর পালিয়ে ছিলেন।
আটক বাসচালকের নাম দেলোয়ার হোসেন ওরফে দিনার (৪০)। তিনি পালিয়ে ছিলেন মানিকগঞ্জের প্রত্যন্ত গ্রামে। আর সহকারী কোরবান আলী ওরফে কোরবানি (২৫) পলাতক ছিলেন যাত্রাবাড়ীতে।
শনিবার (২২ জানুয়ারি) রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন র্যাব-১০ এর উপ-অধিনায়ক মেজর শাহরিয়ার জিয়াউর রহমান।
মেজর শাহরিয়ার জিয়াউর বলেন, “শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) সকাল ৭টা ৫ মিনিটের মাতুয়াইলের টোটাল সিএনজি ফিলিং স্টেশনের বিপরীত পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে। সেখানে চট্টগ্রাম থেকে আসা সেন্টমার্টিন ট্রাভেলসের একটি বাস বেপরোয়া গতিতে ওই সিএনজিকে সজোরে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এরপর বাসচালক ও সহযোগী বাসটি চালিয়ে পালিয়ে যান। এ সময় ঘটনাস্থলেই মারা যান সিএনজিতে থাকা একই পরিবারের তিনজন। তারা হলেন : মো. রহমান বেপারী (৬০), মোছা. শারমিন (৩৫) ও মো. সিরাজুল ইসলাম কুদ্দুস (৪০)। এছাড়া তাদের ছয় বছরের মেয়ে শাকিরা বৃষ্টিসহ সিএনজিচালক গুরুতর আহত হন।”
শাহরিয়ার জিয়াউর বলেন, “এরপর নিহত আব্দুর রহমানের ছেলে বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন। মামলা নম্বর-১০০। দুর্ঘটনার পর হতে র্যাব-১০ ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে ও জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসার জন্য গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায়।”
র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, “এরই ধারাবাহিকতায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব সদরদপ্তর গোয়েন্দা শাখার সহায়তায় র্যাব-১০ এর একটি দল যাত্রাবাড়ী মিরহাজারীবাগ থেকে সেন্টমার্টিন ট্রাভেলসের সহযোগী কোরবান আলীকে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে মানিকগঞ্জের চিকার ঘোনা গ্রাম থেকে চালক দেলোয়ার হোসেন দিনারকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন।”
গ্রেপ্তার বাসচালক ও সহযোগীকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।
