• ঢাকা
  • রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

‘ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে বাড়তে পারে ডেঙ্গু’


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৮, ২০২১, ০৪:০৪ পিএম
‘ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে বাড়তে পারে ডেঙ্গু’
ছবি: সংগৃহীত

ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে গত রোববার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত রাজধানীসহ সারা দেশে বেড়েছে বৃষ্টিপাত। আর এ জন্য এডিস মশা বৃদ্ধি পেয়ে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

বুধবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে সারা দেশের করোনা ও ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে নিয়মিত স্বাস্থ্য বুলেটিনে এই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন অধিদপ্তরের মুখপাত্র ডা. নাজমুল ইসলাম।

ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, “নিম্নচাপের কারণে গত কয়েকদিনে সারা দেশে বিভিন্ন জায়গায় হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। সেই বৃষ্টির পানি যেন কোথাও জমে না থাকে। ফুলের টব থেকে শুরু করে যে সমস্ত জায়গায় পানি জমে থাকে, সেগুলো যদি আমরা পরিষ্কার করে ফেলি তাহলে এডিস মশার বিস্তার রোধ করা সম্ভব হবে। দিনে বা রাতে ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি ব্যবহার করতে হবে। মশার কামড় থেকে বাঁচতে ছোট-বড় সবাইকেই শরীর ঢাকা থাকে এমন পোশাক পরতে হবে।”

এছাড়া ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতনতা এবং সক্রিয় অংশগ্রহণ খুবই জরুরি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এই মুখপাত্র বলেন, “দেশে করোনা রোগীর সংখ্যা এখন কম, তবে সন্দেহভাজন কারও যদি জ্বর থাকে, তাহলে করোনা পরীক্ষার পাশাপাশি ডেঙ্গু জ্বরের পরীক্ষাটিও করতে হবে।”

অধিদপ্তরের তথ্য মতে, দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে সর্বমোট ডেঙ্গু রোগী ভর্তি আছেন ২৫৬ জন। এর মধ্যে ঢাকার ৪৬টি সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন ১৮০ জন এবং অন্যান্য বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৭৬ জন।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে গতকাল (৭ ডিসেম্বর) পর্যন্ত হাসপাতালে সর্বমোট রোগী ভর্তি হয়েছেন ২৭ হাজার ৭৭৯ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ২৭ হাজার ৪২৩ জন। ডেঙ্গুতে এ সময়ে ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

এর আগে ২০১৯ সালে ডেঙ্গুর প্রকোপ মারাত্মক আকার ধারণ করে। সেই বছর এক লাখের বেশি মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। মারা যান ১৪৮ জন। 

অন্যদিকে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি সম্পর্কে নাজমুল বলেন, “করোনা প্রতিরোধের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার স্বাস্থ্যবিধি। টিকা গ্রহণের পাশাপাশি আমরা যদি যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি, সঠিক নিয়মে নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরিধান করি, নিয়মিত সাবান পানি দিয়ে ২০ সেকেন্ড বা তারও বেশি সময় হাত ধুয়ে ফেলতে পারি এবং নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে আমরা যদি প্রাত্যহিক কাজগুলো করতে পারি। তাহলে এই অতিমারি নিয়ন্ত্রণ করাটা আমাদের জন্য সহজ হবে।”
 

Link copied!