• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২০ মুহররম ১৪৪৫

তেল-চিনির দাম বাড়ার বিষয়ে যা বললেন বাণিজ্যমন্ত্রী


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মে ১৪, ২০২৩, ০৫:৫০ পিএম
তেল-চিনির দাম বাড়ার বিষয়ে যা বললেন বাণিজ্যমন্ত্রী

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, “দেশে চিনির চাহিদার প্রায় ৯৯ শতাংশ আমদানি করতে হয়। এছাড়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর গত এপ্রিল মাস থেকে শুল্কছাড় অব্যাহত না রাখায় ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে বৃদ্ধির কারণে নয়।”

রোববার (১৪ মে) রাজধানীর বাড্ডায় দেশব্যাপী মে মাসের টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, “সয়াবিন তেল, ডাল ও চিনি এসব পণ্য আমদানিনির্ভর। বেশ কিছুদিন ধরেই আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম বেড়েছে। যেসব পণ্য আমদানি করে দেশে বিক্রি করতে হয় সেগুলোর দাম আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করতে হয়। আমরা চেষ্টা করি আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য ঠিক রাখার। তারপরও অনেক অসুদোপায়ী ব্যবসায়ী বেশি দামে বিক্রির চেষ্টা করেন। আমরা এ জন্য জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্টদের দিয়ে বাজার মনিটরিংয়ের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেই।”

টিপু মুনশি বলেন, “তেলের ওপর শুল্কছাড় অব্যাহত রাখতে এনবিআরকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। চিনির (শুল্কছাড়ের মেয়াদ) আগামী ৩১ মে শেষ হবে। চিনির শুল্কছাড় অব্যাহত রাখতেও চিঠি দেওয়া হবে। তারা যদি শুল্কছাড় অব্যাহত রাখে তাহলে বাজারে তেল ও চিনির দাম কমতে পারে। অন্যদিকে দেশে চিনির চাহিদার প্রায় ৯৯ শতাংশ আমদানি করতে হয়। এজন্য আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লে দেশের বাজারে এর প্রভাব পড়ে।“

মন্ত্রী আরও বলেন, “নিম্নআয়ের মানুষ যাতে কম মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় করতে পারেন সেজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টিসিবির মাধ্যমে তেল, চিনিসহ অন্য পণ্য বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছেন। প্রতি মাসে এক কোটি পরিবারকে একবার করে পণ্য দেওয়া হচ্ছে। টিসিবি এসব পণ্য ক্রয় করে স্বল্প মূল্যে বিক্রয় করা হয়। দাম বাড়লে টিসিবিকেও অতিরিক্ত মূল্য দিয়ে ক্রয় করতে হয়।”

ডিজিটাল কার্ড কবে নাগাদ চালু করা হবে- সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে টিপু মুনশি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে ডিজিটাল দেশে রূপান্তরিত করেছেন। যার সুফল দেশের মানুষ উপভোগ করছে। আমরা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে টিসিবির এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডকে স্মার্টকার্ডে রূপান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এজন্য সরকারি একটা প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দিয়েছি, তারা কাজ করছে। ত্রুটিমুক্ত একটি স্মাটকার্ড উপহার দেওয়াই আমাদের মূল লক্ষ্য। এজন্য একটু সময় বেশি লাগছে। আগামী ছয় মাসের মধ্যে কাজের অনেকটাই শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।”

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। এ সময় টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আরিফুল হাসান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. জাহাঙ্গীর আলমসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

Link copied!