• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

নগর দরিদ্রদের প্রকৃত তালিকা তৈরির করার আহ্বান


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মে ২৮, ২০২৩, ০৩:৫৩ পিএম
নগর দরিদ্রদের প্রকৃত তালিকা তৈরির করার আহ্বান

নগর দরিদ্রদের তালিকা তৈরির করার আহ্বান জানিয়েছেন নাগরিক সমাজের বিশিষ্টজনরা। তারা বলেছেন, আজকে ওয়ার্ড ও গ্রাম-মহল্লার দরিদ্র, বিধবা প্রতিবন্ধীদের তালিকা নেই। প্রকৃত তালিকা না থাকায় তারা রাষ্ট্রের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আসছে জাতীয় বাজেট দরিদ্রদের উন্নয়নে জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ রাখার দাবি জানিয়েছেন তারা।  

রোববার (২৮মে) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘নগর দরিদ্র বিমোচন : সামাজিক সুরক্ষা খাতে বাজেট বরাদ্দ ও বৃদ্ধি’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপ আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। সভার আয়োজন করে কোয়ালিশন ফর দ্য আরবান পুওর (কাপ) ও সহযোগিতা কনসার্ন ওয়াল্ডওয়াইড।

জাতীয় সংলাপে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, “আমাদের প্রথম দাবি হওয়া উচিত- নাগরিক স্বীকৃতি। এরপর দরিদ্রের তালিকা করার দাবি। সরকার জাতীয় বাজেটে বৈষম্যহীনভাবে বাস্তববায়ন করা দরকার। দেশের ১০ শতাংশ ধনীর কাছে ৪০ শতাংশ দরিদ্র মানুষের ভাগ্যবন্দী। কারণ ৪০ শতাংশ মানুষের বাজেটের বরাদ্দ অর্ধেক নিয়ে যায় এই ধনী শ্রেণি। বাকি অর্ধেক দিয়ে দরিদ্রের ভাগ্য পরিবর্তন সম্ভব হয় না। তাই লুটপাট বন্ধে রাজনৈতিক সদিচ্ছা সবার আগে দরকার।”

সিপিআরডির প্রধান নির্বাহী মো. শামসুদ্দোহা বলেন, “শহর ও গ্রামে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। রাষ্ট্রের সেবাখাতসহ অন্যান্য খাতে চাকরির জন্য গ্রাম ছেড়ে মানুষ শহরমুখী হয়েছেন। গ্রামের মানুষ শহরে এসে প্রথম আয় বৈষম্য স্বীকার হচ্ছেন। অথচ এই দরিদ্র মানুষগুলো ইনফরমাল সেক্টরে কাজ করে ঢাকা সিটির অর্থনীতি চালু রেখেছেন। কিন্তু সরকার তাদের মূল্যায়ন করছে না। এই দরিদ্র মানুষের কম ভোগ করে পরিবেশের সুরক্ষা দিচ্ছে। তাই রাষ্ট্রের সুযোগ সুবিধা বেশি যারা ভোগ করছে তাদের ওপর ট্যাক্স আরোপ করতে হবে। আদায়কৃত অর্থ অর্থনীতি চালু রাখার কারিগরদের মাঝে বণ্টন করতে হবে।”

মো. শামসুদ্দোহা আরও বলেন, “আমরা দেখেছি করোনার সময়ে বড় ব্যবসায়ীদের সুযোগ-সুবিধা দিয়েছে সরকার। সেই তুলনায় ছোট ব্যবসায়ীদের কোনো সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়নি। ফলে বাধ্য হয়ে দরিদ্ররা শহর ছেড়ে গ্রামে চলে গেছেন। নগর দরিদ্রদের তালিকা করার ক্ষেত্র সরকারি লোক, জনপ্রতিনিধি, সিভিল সোসাইটি, স্থানীয় বস্তিবাসী ও শ্রমিকদের সঙ্গে রাখতে হবে। এছাড়াও জরুরি ভিত্তিতে সারা দেশে সার্ভে করে তালিকা করা দরিদ্রদের তৈরি করতে হবে।”

বক্তারা আরও বলেন, “বাজেট বড় হলে দরিদ্র লোক বাড়বে। তাই বড় বাজেট থামাতে হবে। কারণ বাজেটের টাকা ধনী শ্রেণিদের পকেট চলে যায়। লুটপাট ও দুর্নীতি না কমালে মূল্যস্ফীতি আরও বাড়বে। একই সঙ্গে টিসিবি পণ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে।”

সংলাপে কাপের চেয়ারপারসন ডা. দিবালোক সিংহের সভাপতিত্বে সংলাপে ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন উন্নয়ন গবেষক আমিনুর রসুল বাবুল। এতে বক্তব্য রাখেন এসএ টিভির বিজনেস এডিটর সালাউদ্দিন বাবুল, কনসার্ন ওয়াল্ডওয়াইড কান্টি ডিরেক্টর মানিশ কুমার আতরওয়াল, কাপের নির্বাহী পরিচালক খোন্দকার রেবেকা সান ইয়াত, বস্তিবাসী অধিকার সুরক্ষা কেন্দ্রীয় কমিটি সভাপতি হোসনে আরা বেগম রাফেজা, মোহাম্মদপুরবাসী ময়না আক্তার প্রমুখ।

Link copied!