• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

‘আ.লীগ সরকার সময় উপযোগী বাজেট দিয়েছে’


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুন ১, ২০২৩, ১০:০১ পিএম
‘আ.লীগ সরকার সময় উপযোগী বাজেট দিয়েছে’

শেখ হাসিনা সরকারের টানা তিন মেয়াদে ১৫তম বাজেট পেশ করা হয়েছে জাতীয় সংসদে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে উঠতে সহায়ক হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। তাদের মতে, এবারের বাজেট বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে অগ্রসর হতে সহায়ক হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনী ইশতেহারের মাধ্যমে যে ওয়াদা করেছিলেন, এই বাজেট সেই ওয়াদা বাস্তবায়নের অংশ। দেশকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের বসবাসের উপযোগী একটি স্মার্ট দেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে শেখ হাসিনার সরকার এ বাজেট জাতির কাছে উপস্থাপন করেছেন। এই বাজেটে দেশের ধনী, গরিব মধ্যবিত্ত সবাই উপকৃত হবেন।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিকেলে বাজেট পেশের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের নেতারা এসব কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সংসদ থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “বাজেটটা এমনভাবে করা হয়েছে, মানুষের কষ্টটা লাঘব হবে। দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটকে জনবান্ধব।”

সাংবাদিকদের এক প্রেশ্নের জবাবে কাদের বলেন, “জনবান্ধব এ জন্য বলেছি, সাধারণ মানুষের কথা মাথায় রেখে এ বাজেটটা প্রণীত হয়েছে।”

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “জনগণের কল্যাণ ও মঙ্গল চিন্তা করেই বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। ২০২৩-২৪ বাজেটের ফলে আগামী নির্বাচনে নৌকার পক্ষে গণজোয়ার তৈরি হবে।”

একই সুরে কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। তিনি বলেন, “আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার বাজেট ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার সহায়ক হবে। বিশ্ব অর্থনীতি যখন মন্দা, সে মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার সময় উপযোগী বাজেট দিয়েছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা যে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, এই বাজেটের মাধ্যমে সেই স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট নগরায়ণ এবং স্মার্ট জনগণ গড়ে উঠতে সাহায্য করবে।”

তিনি বলেন, “বিশেষ করে পিছিয়ে পড়া নিম্নবিত্ত মানুষ যাতে সমানতালে এগিয়ে যেতে পারে, সেদিকে লক্ষ্য রেখে বাজেট ঘোষণা হয়েছে। একই সঙ্গে ব্যবসায়ীরা যেন উপকৃত হন, সেদিকেও লক্ষ রাখা হয়েছে। এতে বেকারত্ব কমবে, উদ্যোক্তা বাড়বে।”

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, “দুই বছরের অর্থনৈতিক মন্দা কাটিয়ে উঠতে সহায়ক হবে এবারের বাজেট।” 

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বলেন, “বর্তমান টালমাটাল বিশ্ব অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং বিশ্বব্যাপী দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক মূল্যস্ফীতির দুঃসময়ে একটি বাস্তবভিত্তিক গণমুখী বাজেট প্রণয়ন করা অতি দুরূহ বিষয়। অভিজ্ঞ, দক্ষ, জ্ঞানতাপস রাষ্ট্রনেতা শেখ হাসিনার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে সরকার সেই অগ্নিপরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, প্রেক্ষিত পরিকল্পনা, বদ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০-এর আলোকে উন্নয়ন ও জনজীবন উন্নত করার বাজেট পেশ করা হয়েছে। এই বাজেট বাস্তবায়ন করতে পারলে দেশ ও জনগণ আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে।” 

ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জাতীয় সমাজ তান্ত্রিক দল জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু। তিনি বলেন, “বাজার সিন্ডিকেট ধ্বংস করে দ্রব্যমূল্য সরকার কতটুকু নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে, এর ওপর নির্ভর করবে বাজেটের সফলতা।”

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন প্রস্তাবিত বাজেট প্রসঙ্গে বলেন, “বর্তমান বাস্তবতায় দ্রব্যমূল্য কীভাবে কমবে তা বাজেটে অস্পষ্ট। আমার যেটা মনে হয়েছে যে, অর্থমন্ত্রী তার উন্নয়নের কথামালা দিয়ে বর্তমান বাস্তবতাকে অস্পষ্ট করে দিয়েছেন। যে চ্যালেঞ্জগুলো আমাদের সামনে রয়েছে; বাজারে মূল্য বৃদ্ধির ঘটনাগুলো ঘটছে, সেটা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ হবে, এটা খুব একটা স্পষ্ট আকারে এসেছে বলে মনে হয়নি। ফলে চ্যালেঞ্জগুলো কীভাবে মোকাবিলা হবে এটা বেশ দুষ্কর ব্যাপার।”

Link copied!