• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

বেড়েছে সবজি ও মুরগির দাম


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ১১, ২০২২, ১২:১৬ পিএম
বেড়েছে সবজি ও মুরগির দাম

সপ্তাহের ব্যবধানে সরবরাহ কমে যাওয়ায় বাজারে বেড়েছে সবজি ও সব ধরনের মুরগির দাম। দাম বেড়ে খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে কেজি ১১০ টাকায়। তবে ডাল, পেঁয়াজ, তেল ও মাছের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে, যা আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে।

শুক্রবার (১১ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বাজারে প্রতি কেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকায়, বরবটি ৮০ টাকা, শিম ৪০-৬০ টাকা, বেগুন (গোল) ৬০ টাকা, বেগুন (লম্বা) ৪০ টাকা, ফুলকপি প্রতি পিস ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৮০ টাকা, চাল কুমড়া পিস ৪০ টাকা, প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, পটোল ৪০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০ টাকা, লতি ৬০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা ও পেঁপের কেজি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। 

এ ছাড়া প্রতি কেজি খোলা আটা ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দুই কেজি ওজনের প্যাকেট আটা ১২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চাল আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। মোটা ব্রি ২৮ চাল কেজি ৬০ টাকা, চিকন চাল কেজি ৭৫ টাকা, নাজিরশাইল ৮০ থেকে ৮৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

চিকন মসুর ডাল কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, মোটা মসুর ডাল ১০০ থেকে ১১০ টাকা, আমদানি করা আদা কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি, আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা, দেশি রসুন ৯০ থেকে ১০০ টাকা কেজি। পেঁয়াজ ৪৫ টাকা কেজি, আলু ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ডিম আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। প্রতি ডজন ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা।

দুই সপ্তাহ আগেও বাজারে খোলা চিনি কেজিপ্রতি বিক্রি হয় ৯০ টাকায়। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে দাম বেড়ে খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা কেজি। বাজারে কোনো দোকানে প্যাকেট চিনি পাওয়া যায়নি।

আবারও বাজারে সরবরাহ সংকটে বেড়েছে মুরগির দাম। ব্রয়লার ও সোনালি মুরগির দাম কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে।

রামপুরা বাজারের মুরগি ব্যবসায়ী মো. আমজাদ হোসেন সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “ব্রয়লার মুরগি ১৭০-১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। সোনালি মুরগি ৩২০ টাকা এবং দেশি মুরগির কেজি ৫০০ টাকা।”

সবজি ক্রেতা নাসিমউজ্জামান সংবাদ প্রকাশ বলেন, “বাজারে নাগালের বাইরে রয়েছে বেশির ভাগ সবজির দাম। আর পাইকারি বাজারের চেয়ে খুচরা বাজারে দামের তফাতও অনেক বেশি। এই বিষয়টা প্রশাসনের দেখা দরকার।”

ফরিদ আহমেদ নামের এক ক্রেতা সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “বাজারে এমন কোনো পণ্য নেই যে দাম বাড়েনি। এতে আমাদের মতো মধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্রেতাদের রীতিমতো নাভিশ্বাস উঠেছে। বাজারের ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা না হলে এই অবস্থা চলতে থাকবে।”

Link copied!