• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫
মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ

শিক্ষকদের আন্দোলন গড়াল ১৬তম দিনে


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জুলাই ২৬, ২০২৩, ১০:০০ পিএম
শিক্ষকদের আন্দোলন গড়াল ১৬তম দিনে
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ১৬তম দিনে মাধ্যমিক শিক্ষকদের আন্দোলন। ছবি-সংবাদ প্রকাশ

রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা করে ১৬তম দিনের মত চলছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) অবস্থান কর্মসূচি। শিক্ষকরা জানিয়েছেন, সরকারি এবং বেসরকারি শিক্ষকরা একসঙ্গে থাকলে উপহাসের শিকার  হতে হয়। তাই শত কষ্ট হলেও মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ না হওয়া পর্যন্ত তারা ঘরে ফিরবেন না।

বুধবার (২৬ জুলাই) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে দেখা যায়, শিক্ষকরা প্রথম দিনের মতই অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে। এসময় প্রকৃতিতে হালকা বৃষ্টি এবং চড়া রোদের ঝলকানি  দেখা যায়। যা উপেক্ষা করেই তারা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন। যে কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসেছেন দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা পর্যায়ের শাখা সমিতির নেতারা।

এর আগে ১১ জুলাই থেকে এক দফা দাবি ‘মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ’ আদায়ের লক্ষ্যে তারা কর্মসূচি শুরু করেন। অবস্থানরত শিক্ষকদের অভিযোগ, ‘বেসরকারি শিক্ষাখাতে শিক্ষকতা করায় অনেকেই তাদের ভিন্নচোখে দেখে। শিকার হতে হয় উপহাসের।’

মানিকগঞ্জ থেকে আসা ঝর্ণা রানী বিশ্বাস নামে এক শিক্ষিকা বলেন, “অনেক দূর থেকে আমরা শিক্ষকরা এখানে এসেছি। ১৬ দিন থেকে আমরা শিক্ষকরা অনেক কষ্ট করে এখানে আছি। রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা করে চলছে কর্মসূচি। এক প্রকার  মানবেতর জীবন যাবন করছি আমরা। আমাদের একটাই দাবি আমরা মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ চাই। প্রধানমন্ত্রী মানবতার মা। আমাদের বিশ্বাস তিনি আমাদের সঙ্গে কথা বলবেন। আমাদের  দাবি পূরণ করবেন।”  

সাবিনা নামে এক শিক্ষিকা বলেন, “আমরা যখন  সরকারি এবং বেসরকারি শিক্ষকরা একসঙ্গে কোথাও যাই। তখন অনেকেই উপহাস করে  বলেন, ‘আমরা বেসরকারি শিক্ষক।’ শুনতে খুবই খারাপ লাগে। আমরা তো আমাদের কর্মে অবহেলা করি না। আমরা সরকারি শিক্ষকদের মতই শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রদান করি। তাহলে আমরা কেন বৈষম্যের শিকার হবো। এখানে  অনেক কষ্ট করেই আছি। কষ্ট হলেও জাতীয়করণ না নিয়ে ফিরব না। আমাদের বিশ্বাস প্রধানমন্ত্রী আমাদের দাবি মেনে নেবেন।”

ইব্রাহিম নামে এক শিক্ষক বলেন, “বৈষম্য থেকে মুক্তি পেতে এখানে সাড়ে ৫ লাখ শিক্ষক আছে। কেননা আমরা সরকারি শিক্ষকদের মত একই  সিলেবাসে পড়াই। আমরা তবু বৈষম্যের শিকার। সরকারি শিক্ষদের প্রারম্ভিক বেতন ১৬ হাজার টাকা। আর আমাদের দেওয়া হয় ১২ হাজার  ৫০০ টাকা। আমাদের মাত্র ১ হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া দেওয়া হয়। আর ওদের বেতনের ৪০ শতাংশ বাড়ি ভাড়া। বাংলাদেশের কোথাও ১ হাজার টাকায় বাড়ি ভাড়া মেলে না। আমরা চাইলেও বদলি নিতে পারি না। আমাদের একটাই দাবি জাতীয়করণ। শত কষ্ট হলেও জাতীয়করণ না নিয়ে আমরা ঘরে ফিরব না।”

Link copied!