দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর মুক্ত হয় হয় বাংলাদেশ। তার আগে ডিসেম্বরের শুরু থেকেই দেশের বিভিন্ন জেলা পাকিস্তানী হানাদার মুক্ত হতে শুরু করে। মুক্তিযোদ্ধাদের প্রবল প্রতিরোধের মুখে পিছু হটতে থাকে পাকিস্তানী বাহিনী। তারই ধারাবাহিকতায় ৭১-এর এই দিনে (৬ ডিসেম্বর) মুক্তি হয় দেশের বেশ কয়েকটি অঞ্চল।
কুড়িগ্রাম
ব্রিটিশ সরকারের শাসন আমলে ১৮৭৫ সালের ২২ এপ্রিল কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, উলিপুর, চিলমারী, রৌমারী, নাগেশ্বরী, ভূরুঙ্গামারী ও ফুলবাড়ী এই ৮টি থানা নিয়ে কুড়িগ্রাম মহকুমার জন্ম হয়। পরে দেশ স্বাধীন হলে ১৯৮৪ সালের ২৩ জানুয়ারি কুড়িগ্রাম সদর, নাগেশ্বরী, ভূরুঙ্গামারী, রাজারহাট, উলিপুর, চিলমারী, রৌমারী ও রাজিবপুর এই ৯টি উপজেলা নিয়ে গঠিত হয় কুড়িগ্রাম জেলা। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় এ জেলাটির রয়েছে নানান ইতিহাস।
১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে কুড়িগ্রামকে মুক্ত করেন। স্বাধীনতা যুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত না হলেও এ অঞ্চলে সেদিন উদিত হয় স্বাধীন বাংলার লাল-সবুজের পতাকা। ২৩০ দিন পাক হানাদার বাহিনীর হাতে অবরুদ্ধ থাকার পর মুক্ত হয় উত্তরের জনপদ কুড়িগ্রাম।
এই দিনে মুক্তিবাহিনীর কে ওয়ান এফএফ কোম্পানি কমান্ডার বীর প্রতীক আব্দুল হাই সরকারের নেতৃত্বে ৩৩৫ জন মুক্তিযোদ্ধার একটি দল বিকেল ৪টায় কুড়িগ্রাম শহরে প্রথম প্রবেশ করে। এরপর তারা নতুন শহরের ওভার হেড পানির ট্যাংকের ওপরে (বর্তমান সদর থানার উত্তরে অবস্থিত) স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করে চারিদিকে ছড়িয়ে দেন বিজয়বার্তা। সেদিন বিজয় মিছিলে মুক্তিযোদ্ধাদের স্বাগত জানাতে হাজারো মুক্তিকামী মানুষ রাস্তায় নেমে এসে মিলিত হন।
জেলার মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস থেকে জানা যায়, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে কুড়িগ্রাম জেলার মানুষের রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা। ১৯৭১ সালে কুড়িগ্রাম জেলা ছিল একটি মহকুমা। ১৯৭১ সালের ১০ মার্চ মহকুমা সংগ্রাম কমিটি গঠিত হয়। ১৭ মার্চ স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতারা চিলড্রেন পার্কে আনুষ্ঠানিকভাবে মানচিত্র আঁকা স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলন করেন। ২৫ মার্চের কাল রাতের পর সংগ্রাম কমিটি ২৮ মার্চ গওহর পার্ক ময়দানে জনসভা করে বেসরকারি হাইকমান্ড গঠন করে মুক্তিযুদ্ধ শুরু করে। ৩০ মার্চ রংপুরের ইপিআর উইংয়ের সহকারী অধিনায়ক ক্যাপ্টেন নওয়াজেশ উদ্দিন কয়েকজন সঙ্গী নিয়ে কুড়িগ্রামে চলে আসেন। তার নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা ১ এপ্রিল থেকে তিস্তা নদীর পূর্বপাড়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ৪ এপ্রিল পাকবাহিনী দালালদের সহযোগিতায় তিস্তা নদী পাড় হয়ে লালমনিরহাট দখল করে নেন। এরপর পাক বাহিনী ৭ এপ্রিল এবং ১৪ এপ্রিল দুবার কুড়িগ্রাম দখলে ব্যর্থ হওয়ার পর ২০ এপ্রিল কুড়িগ্রাম শহর দখল করে নেন।
এরপর থেকে দেশ মাতৃকাকে মুক্ত করতে মুক্তিযোদ্ধারা সংগঠিত হয়ে জুলাই মাস থেকে গেরিলা যুদ্ধ করেন। পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে পরিচালনা করতে থাকেন একের পর এক সফল অভিযান। ১৩ নভেম্বর উলিপুরের হাতিয়ায় পাকিস্তানী বাহিনী গণহত্যা চালায়। এদিন পাকিস্তানি বাহিনী পাঁচজন মুক্তিযোদ্ধাসহ ৭৩৪ জন নিরীহ মানুষকে দাগারকুটি বধ্যভূমিতে জড়ো করে হত্যা করেন। ১৪ নভেম্বর থেকে মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি বাহিনীর ওপর প্রচণ্ড আক্রমণ চালিয়ে জেলার ভূরুঙ্গামারী, ২৮ নভেম্বর নাগেশ্বরী, ৩০ নভেম্বর সমগ্র উত্তর ধরলা এবং ৬ ডিসেম্বর কুড়িগ্রাম শহরসহ সমগ্র জেলা হানাদার মুক্ত করেন। এদিন দুপুরে পাকিস্তান সেনারা রেল পথে কুড়িগ্রাম ত্যাগ করে।
মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন কুড়িগ্রাম জেলার অর্ধেক অংশ ছিল ৬ নম্বর সেক্টর এবং বাকি অংশ ছিল ১১ নম্বর সেক্টরের অধীনে। শুধুমাত্র ব্রহ্মপুত্র নদ দ্বারা বিচ্ছিন্ন রৌমারী থানা ছিল মুক্তাঞ্চল। সেখানেই চলত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ।
মুক্তিযোদ্ধা ও প্রবীণ সাংবাদিক মো.শাহবুদ্দিন আহমেদ বলেন, “১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হওয়া যেমন আমাদের গর্ব, তেমনি আমি যুদ্ধ করে আমার জন্মস্থান কুড়িগ্রামকে এই দিনে স্বাধীন করেছি এটাও আমাদের গর্ব। গোটা দেশ একদিনে স্বাধীন হয়নি, বিভিন্ন দিন বিভিন্ন অঞ্চল হানাদার মুক্ত হয়েছে। এই বীরত্বগুলোর গুরুত্ব রয়েছে। রাষ্ট্রের পাশাপাশি নতুন প্রজন্মকে এই বীরত্বগুলো জানানো এবং তাদের এই চেতনায় উদ্বুদ্ধ করা আমাদের দায়িত্ব, সেই জায়গাটা আমাদের তৈরি করতে হবে।”
যশোর
আজ যশোর মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে দেশের প্রথম জেলা হিসেবে যশোর হানাদার মুক্ত হয়। যশোরেই প্রথম উঠেছিল বিজয়ী বাংলাদেশের রক্ত সূর্য খচিত গাঢ় সবুজ পতাকা।
এই দিনে ৬ ডিসেম্বর ভোর থেকে গ্রামাঞ্চলে থাকা মুক্তি ও মিত্র বাহিনীর সদস্যরা মিছিল সহকারে যশোর শহরে প্রবেশ করতে থাকে। দুপুর হতে না হতেই মুক্তিকামী জনতার পদভারে মুখরিত হয়ে ওঠে শহর। যশোর কালেক্টরেট ভবনে ওড়ানো হয় জাতীয় পতাকা। বিকেলে যশোর টাউন হল ময়দানে অনুষ্ঠিত হয় মুক্তিকামী জনতার সমাবেশ। এই সমাবেশ থেকে গোটা দেশকে শত্রু-মুক্ত করার দৃঢ় সংকল্প গ্রহণ করেন মুক্তিবাহিনীর সদস্যরা।
মুক্তিযুদ্ধের সময় যশোর ছিল ৮ নম্বর সেক্টরের অধীন। এ সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন মেজর মঞ্জুর। অন্যদিকে পাকিস্তানি বাহিনীতে মোতায়েন ছিল ১০৭ নম্বর ব্রিগেড। যশোর সেনানিবাস থেকে শত্রু বাহিনী ছয়টি জেলা নিয়ন্ত্রণ করত। ২০ নভেম্বর মুক্তিবাহিনী ও মিত্র বাহিনী যশোর সেনানিবাস দখলের অভিযান শুরু করে। পাকিস্তানি বাহিনীর পশ্চিমাঞ্চলের শক্তিশালী ঘাঁটি চৌগাছা ঘিরে ফেলে সম্মিলিত বাহিনী।
মিত্র বাহিনীর গোলার আওতায় আসে যশোর সেনানিবাস। ২২ নভেম্বর রাতে পতন হয় চৌগাছার। এ সময় যশোর সেনানিবাসের তিন দিকেই মিত্র ও মুক্তি বাহিনী শক্ত ঘাঁটি গেঁড়ে বসে। প্রতিরোধ যুদ্ধের শেষ অভিযান শুরু হয় পাঁচ ও ছয় ডিসেম্বর। যুদ্ধে টিকতে না পেরে পাকিস্তানি বাহিনী পালিয়ে যায় খুলনার দিকে। ছয় ডিসেম্বর যশোর শহর নিয়ন্ত্রণে নেয় মুক্তি বাহিনী। ওই দিন সন্ধ্যার পর শহরে তারা বিজয় মিছিল করে।
মুক্ত যশোরে সাত ডিসেম্বর সকালে মানুষের ঢল নামে। আনন্দ উল্লাসের পাশাপাশি স্বজন হারানো মানুষের কান্নায় বাতাস ভারি হয়ে ওঠে। ১১ ডিসেম্বর যশোর টাউন হল মাঠে আয়োজিত এক সমাবেশে মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদ ভাষণ দেন।
মেহেরপুর
একাত্তরের এই দিনে মুক্ত হয় মেহেরপুর জেলাও। মুক্তিবাহিনীর প্রবল প্রতিরোধের মুখে দাঁড়াতে না পেরে ৫ ডিসেম্বর রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী মেহেরপুর ছেড়ে পালিয়ে যায়। আনন্দ আর উল্লাস করতে করতে সর্বস্তরের মানুষ রাস্তায় নেমে আসে এই দিন।
মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন সেলে ধরে নিয়ে গিয়ে অকথ্য নির্যাতন চালাতো। মেহেরপুর সরকারি কলেজ, টেকনিকেল স্কুল এন্ড কলেজ ও নাটুদা হাইস্কুলে পাকিস্তানি বাহিনী নিরীহ মানুষকে ধরে নিয়ে বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে, গুলি করে হত্যা করতো।
১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে অস্থায়ী সরকারে শপথ গ্রহণের পর মেহেরপুর টার্গেটে পরিণত হয় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর। ১৮ এপ্রিল দুপুরে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে চুয়াডাঙ্গা থেকে সড়ক পথে মেহেরপুর প্রবেশ করার সময় সদর উপজেলার আমঝুপি গ্রামে নির্মম গণহত্যা চালালে এ অঞ্চলের প্রতিরোধ ব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়ে। ভারতের হৃদয়পুর, বেতাই, শিকারপুরসহ বেশ কয়েটি জায়গায় প্রশিক্ষণ শিবির খোলা হয়। ভারতীয় বাহিনীর তত্ত্বাবধানে যুব সমাজ গেরিলা ও যুদ্ধের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে থাকে।
১৮ এপ্রিল শত্রু বাহিনী মেহেরপুরে আসে এবং এক সপ্তাহের মধ্যে মেহেরপুর সরকারি কলেজ, কবি নজরুল শিক্ষা মঞ্জিলসহ তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তাদের শক্তিশালী দুর্গ গড়ে তোলে। এছাড়াও মেহেরপুরের মহাজনপুরের পাশে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদা হাইস্কুলে পাকিস্তানি বাহিনীর শক্তিশালী ঘাঁটি ছিল। মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে নুরপুর, মানিকনগর ক্যাম্পসহ গোটা মেহেরপুর জেলা পাকিস্তানি বাহিনী পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে নেয়। জুন-জুলাই মাসের দিকে উচ্চতর প্রশিক্ষণ শেষে গেরিলারা মেহেরপুরে ফিরে সেতু কালভার্ট ধ্বংস এবং টেলিফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে মাইন পুতে রেখে পাকিস্তানি বাহিনীর যোগাযোগ এবং খাদ্য সরবরাহ বিপদ সংকুল করে তোলেন। আগস্ট মাসের ২ ও ৩ তারিখ মানিকনগর ক্যাম্প উঠিয়ে মোনাখালিতে এবং কাথুলি ক্যাম্প উঠিয়ে গাংনীর ভাটপাড়াতে স্থাপন করতে বাধ্য হয় পাকিস্তানি বাহিনী।
দীর্ঘ প্রায় ৮ মাস ধরে পাকিস্তানি সেনারা রাজাকার ও পিস কমিটির সহায়তায় সাধারণ মানুষসহ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ওপর নির্মম অত্যাচার নির্যাতন ও অগ্নিসংযোগ-লুটপাট চালাতে থাকে। পাকিস্তানি সেনারা আমঝুপি, ওয়াপদা মোড়, পিরোজপুর, কাজিপুর, ভাটপাড়া, কোলাসহ বিভিন্ন গ্রামে নৃশংস গণহত্যা চালায়। যেখানেই গণহত্যা সেখানেই বধ্যভূমি রয়েছে। তার মধ্যে মেহেরপুর সরকারি কলেজের উত্তরে বিস্তৃত মাঠ, টেকনিকেল স্কুল এন্ড কলেজের ভিতর ও ভাটপাড়ায় বধ্যভূমি অন্যতম। গোটা তিন মাস খলিশাকুন্ডি, গোয়ালগ্রাম ও সাহেবনগর, কাজিপুরসহ বিভিন্ন স্থানে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধ হয়। অসংখ্য জায়গায় মুক্তিকামী বাঙালিরা পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থান নিতে থাকেন। কয়েকটি স্থানে পাকিস্তানি বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে কোণঠাসা হয়ে পড়ে পাকিস্তানি বাহিনী। ৬ ডিসেম্বর সকালে মুক্তিবাহিনীর বিশাল বহর মেহেরপুর শহরে প্রবেশ করে। তার পূর্বেই পাকিস্তানি বাহিনী পালিয়ে যায়। হানাদার মুক্ত হয় মেহেরপুর।
শ্রীবরদী (শেরপুর)
১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার মুক্ত হয় শেরপুরের শ্রীবরদী। মুক্তিযুদ্ধের সময় হানাদার বাহিনী শ্রীবরদী, ভায়াডাঙ্গা, ঝগড়ারচর ও কুরুয়াতে ক্যাম্প স্থাপন করেন। তবে মিত্র বাহিনীর তীব্র আক্রমণে টিকতে না পেরে হানাদার বাহিনী এবং তাদের দোসর রাজাকার ও আলবদর বাহিনীর সদস্যরা শ্রীবরদী ছাড়তে বাধ্য হন।
শ্রীবরদী মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কার্যালয়ের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল্লাহ সালেহ বলেন, ৪ ডিসেম্বর ধানুয়া কামালপুরে মিত্র বাহিনীর আক্রমণে হেরে হানাদার বাহিনীর সদস্যরা শ্রীবরদীর দিকে অবস্থান নিলে ১১ নম্বর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আবু তাহেরের নেতৃত্বে মিত্র বাহিনী প্রবল আক্রমণ চালান। ৬ ডিসেম্বর ভোরে মিত্র বাহিনীর আক্রমণে ক্যাম্প ছেড়ে হানাদার বাহিনী শ্রীবরদীর লংগরপাড়া হয়ে শেরপুরের দিকে পিছু হটে। ওইদিনই তারা জামালপুরে অবস্থান নেয়।
সূত্র জানায়, মুক্ত শ্রীবরদীতে স্বাধীন বাংলার পতাকা উড়ান মুক্তিযোদ্ধা জহুরুল হক মুন্সি (বীর প্রতীক বার) ও মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রেজ্জাক।
ফেনী
আজ ফেনী মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধারা সম্মুখ সমরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে ফেনীর মাটিতে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়েছিলেন। সেই থেকে দিনটি ফেনী মুক্ত দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।