যথাসময়ে সংবিধান মোতাবেক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, “নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান থাকবেন শেখ হাসিনা। নির্বাচন হবে স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে, সংবিধানের সব নিয়ম মেনে। সেই নির্বাচনে একটা-দুইটা দল অংশ না নিলে নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য হবে না।”
বুধবার (১৮ অক্টোবর) বিকেলে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ গেটে শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষ্যে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এই সমাবেশের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে শেষ বার্তা দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, “দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরকারের প্রধান থাকবেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। তিনি জনগণের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়ে আবারও সরকার গঠন করবেন। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হবেন এটাই আমাদের বার্তা।”
সেতুমন্ত্রী বলেন, “অবরোধ দিলে পালটা অবরোধ দিয়ে কোথাও দাঁড়াতে দেওয়া হবে না। ২৮ অক্টোবর নেতাকর্মীদের মাঠে থাকার পাশাপাশি পালটা অবরোধের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার আহ্বান করছি। দেশের উন্নয়ন আর স্থিতিশীলতার জন্য নৌকার বিকল্প নাই।”
বিএনপি নেতাদের আন্দোলনের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “মির্জা ফখরুল পাঁচ তারকা হোটেলে নাস্তা করে অনশন করেন ৩ ঘণ্টা। আড়াই ঘণ্টা পর বিদেশি জুস খাইয়া অনশন বন্ধ করে দেন। এই আন্দোলন তারা করছেন। আমাদের বার্তা দিচ্ছে, দিনক্ষণ বলে দিচ্ছে কবে ক্ষমতা ছেড়ে দিতে হবে। বাংলাদেশের ম্যাজিক লিডার শেখ হাসিনা।”
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “খেলা হবে বিএনপির বিরুদ্ধে, ভোট চুরির বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে, লুটপাটের বিরুদ্ধে, জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে। বিএনপি হলো খুনির দল, এদের হাতে রক্ত।”
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিএনপির যোগাযোগের ইঙ্গিত দিয়ে কাদের বলেন, “উৎসাহিত হচ্ছেন, কারণ পশ্চিমারা নাকি উৎসাহ দিচ্ছে। ফখরুল সাহেব, দুনিয়ার অবস্থা ভালো না। তাদের নিজেদের ঘর সামলানোই কঠিন। তারা ঘর সামলাবে নাকি আপনাকে উৎসাহ দেবে? উৎসাহ দেওয়ার দিন শেষ। অবরোধ করবেন? পালটা অবরোধ দেব। দাঁড়াতে দেব না। অবরোধ যারা করবে, তারাই সাধারণ মানুষের জন্য বাধা। তাদের বিরুদ্ধে মার্কিনিদের ব্যবস্থা কী হয়, সেটা দেখা হবে।”