• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৫

অবরোধেও নিরাপদ বাহন মেট্রোরেল


বিজন কুমার
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৩, ২০২৩, ০৭:২৩ পিএম
অবরোধেও নিরাপদ বাহন মেট্রোরেল
মেট্রোরেলের ভেতরে যাত্রীদের ভিড়। ছবি : সংবাদ প্রকাশ

যাত্রীদের ভিড়ে মুখরিত পুরো স্টেশন চত্বর। কেউ দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট ক্রয় করছেন। আবার কেউ টিকিট ক্রয় করছেন স্বয়ংক্রিয় মেশিনে। এরই মাঝে লাইনে দাড়ানো নিয়ে অনেক যাত্রীরা একে ওপরের সঙ্গে বিবাদও করছেন।

বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল ৯ টায় এমনই চিত্র দেখা যায় রাজধানীর মিরপুর ১০ মেট্রোরেল স্টেশনে। ভাবতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও, এর বিপরীত চিত্র রাজধানীর বাস টার্মিনালগুলোতে। যাত্রী সংকটে অনেক চালকই অবসর সময় কাটাচ্ছেন।

এ দিন সরেজমিনে যাওয়া হয়, মেট্রোরেল স্টেশনসহ গাবতলী বাস টার্মিনাল এলাকায়। দেখা যায়, উপচেপরা যাত্রীর ভিড়ে মেট্রো কোচ পরিপূর্ণ। ভিন্ন চিত্র হলো যাত্রীবাহী বাস চালকেরা অপেক্ষা করছেন যাত্রীর জন্য। একজন যাত্রী পেলেই টানাটানি শুরু করছে কেউ কেউ। দূরপাল্লার বাসগুলোর চিত্রও ঠিক একই রকম।  

দুটি এলাকাতেই কথা হয় বেশ কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে। তারা বলছেন, চলমান অবরোধ কর্মসূচিকে ঘিরে অগ্নি সংযোগের ঘটনাগুলো সাধারণ মানুষের মনে আতঙ্ক তৈরি করেছে। সেই স্থলে মেট্রোরেল অনেকাংশই নিরাপদ। তাই বাসের চেয়ে ভিড় বেশি মেট্রোরেলে।

মেট্রোরেল। ছবি : সংবাদ প্রকাশ

রাজধানীবাসীর কাছে এখন মেট্রোরেল যেন নিরাপদ যাত্রার একমাত্র বাহন।

মিরপুর মেট্রো স্টেশনে সাকিবুল হাসান সাকিব নামের এক শিক্ষার্থী নিরাপদ যাতায়াতের কথা উল্লেখ করে বলেন, “দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে মেট্রোরেল অনেক বড় একটি সেবা দিচ্ছে। কারণ যাত্রীবাহী বাসে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বেশি ঘটছে। তাই বাসে চলাচল করা নিরাপদ বলে মনে হচ্ছে না অনেকেরই। সেই জায়গায় মেট্রোরেল ওপর (উঁচু) দিয়ে যাচ্ছে। যেখানে অগ্নিকাণ্ড ঘটার সম্ভবনা নেই বললেই চলে। তাই মেট্রোরেলের যাতায়াত নিরাপদ।”

খালিদ বিন খায়ের নামের আরেক যাত্রী বলেন, “আমরা প্রায় সময় বাসেই যাতায়াত করি। কিন্তু হরতাল-অবরোধের কারণে বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনাগুলো শুধু আমার নয়, সকলের মাঝে আতঙ্ক তৈরি করেছে। সেই স্থান থেকে মেট্রোরেলে যাতায়াত নিঃসন্দেহে নিরাপদ। এর কারণে বাসের চেয়ে মেট্রোরেলে ভিড় বেশি।”

জাকির হোসেন নামের এক বাস যাত্রী বলেন, “বাসে জানালা লাগিয়ে দিয়ে চলতে হচ্ছে। কখন কে আগুন দিবে বোঝা মুশকিল। নিজের প্রয়োজনের তাগিদে ঝুঁকি আর আতঙ্ক নিয়েও চলতে হচ্ছে। কিছুই করার নেই।”

সোহেল নামের এক বাস চালক বলেন, “যাত্রী না থাকার কারণে আয় কমেছে। দিন শেষে টাকা থাকে না। যেদিন বাস চালাই সেদিন টাকা পাই। না হলে, নাই। অনেক বাস চালক ঋণের মধ্যে পড়ে গেছে। হরতাল, অবরোধ না দিয়ে দলগুলো সমঝোতায় বসলে আমাদের ভালো হয়।”

Link copied!