• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

বছরজুড়ে চাল নিয়ে চালবাজি


খাদিজা নিপা
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৯, ২০২২, ০২:২৫ পিএম
বছরজুড়ে চাল নিয়ে চালবাজি

চলতি ২০২২ সাল ছিল দ্রব্যমূল্যের চরম অস্থিরতার বছর। এই অস্থিরতা ছিল চালের দামেও। গত এক বছরে দফায় দফায় বেড়েছে সব ধরনের চালের দাম। চলতি বছরের শুরুতে মোটা চালের দাম কেজি প্রতি ৪৬ টাকা, বিআর-২৮ ৫৩ টাকা, মিনিকেট ৬৮ টাকা ও নাজিরশাইল চাল ৭৫ টাকায় বিক্রি হয়। যদিও তার মাত্র এক সপ্তাহ আগেই ৩ টাকা কমে পাওয়া যাচ্ছিল এসব চাল।

বছরের মে মাসের দিকে চালের দাম কেজিতে ২ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গুটিস্বর্ণা প্রতি কেজি ৫৩-৫৪ টাকা, বিআর-২৮ চাল ৫৪-৫৫ টাকা, মিনিকেট ৬৮-৭০ টাকা এবং নাজিরশাইল ৮২-৮৪ টাকায় বিক্রি হয়।

জুলাই মাসের দিকে বাজারে চালের দাম কিছুটা কমতে থাকে। মাসের শুরুর দিকে মোটা চাল গুটি স্বর্ণার কেজি বিক্রি হয়েছে ৪৮ থেকে ৫২ টাকায়। মাঝারি ধরনের চাল পাইজাম ও বিআর-২৮–এর কেজি মিলেছে ৫২ থেকে ৫৮ টাকায়। সরু চালের মধ্যে মিনিকেট মানভেদে বিক্রি হয়েছে ৬৫ থেকে ৭২ টাকায়। কেজি প্রতি নাজিরশাইল চালের দাম পড়ছিল মানভেদে ৭৫ থেকে ৮৫ টাকা।

তার ঠিক এক মাসের মাথায় চালের দাম কেজিপ্রতি বেড়েছিল ১৫ শতাংশ। আগস্ট মাসের শেষের দিকে মোটা চাল সর্বনিম্ন ৫৫, সর্বোচ্চ ৫৮ টাকায়, এক কেজি সরু চাল ৬৫ থেকে ৮০ টাকা দরে ও মাঝারি চাল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজিতে কিনতে হয়েছিল ক্রেতাদের।

পরে ২৮ আগস্ট জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক প্রজ্ঞাপনে চাল আমদানিতে শুল্ক কমানোর ঘোষণা দেয়। এতে চাল আমদানির মোট করভার ২৫ শতাংশ থেকে কমে ১৫ শতাংশ হয়। ফলে খুচরা বাজারে মাঝারি চালের মধ্যে পাইজাম ৫৬ টাকার কাছাকাছি বিআর–২৮ চাল প্রতি কেজি ৫৭ থেকে ৫৮ টাকার আশপাশে বিক্রি হয়েছে। একইভাবে সরু মিনিকেট চাল কম দামেরটা কেজিতে ৭০ থেকে ১ টাকা কমে ৬৯ টাকা মিনিকেটের আরও কয়েকটি ধরন রয়েছে, সেগুলোও পাইকারিতে কমতে শুরু করেছিল। তবে তখনও কমেনি নাজিরশাইল চালের দাম। এটা আগের মতো ৭৫ থেকে ৮৫ টাকার মধ্যেই ছিল।

বাংলাদেশের বাজারে আগস্টে মোটা চালের কেজিপ্রতি গড় দর ৫৩ টাকায় ওঠে। এরপর সেপ্টেম্বরে তা কিছুটা কমে ৫০ টাকা হয়। যদিও ২০২০ সালের জানুয়ারির দিকে দাম ছিল ৩২ টাকার আশপাশে। সরু চালের গড় দাম সেপ্টেম্বরে দাঁড়ায় কেজিপ্রতি ৭৩ টাকা, যা গত এক বছরে ১২ শতাংশ বেড়েছে।

বাজারে এখন মোটা চাল স্বর্ণা ও চায়না ইরি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৬ থেকে ৫৫ টাকা। মাঝারি মানের চাল পাইজাম ও লতার দাম ৫২ থেকে ৬০ টাকা। সরু চাল মিনিকেট কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৭৮ টাকায়। এছাড়াও উচ্চমানের নাজিরশাইল চাল মানভেদে পাওয়া যাচ্ছে প্রতি কেজি ৮৫ টাকার মধ্যে। তবে বাজারে এর চেয়ে আরও উচ্চমূল্যের চাল রয়েছে। বিভিন্ন কোম্পানি প্যাকেটজাত যেসব চাল বিক্রি করে, তা প্রতি কেজি ১০০ টাকার আশপাশে বিক্রি হচ্ছে।

কেন এই দাম বৃদ্ধি?

আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়ে যাওয়া, জাহাজ ভাড়া ও অন্যান্য ব্যয় বৃদ্ধি, ডলারের দাম বেড়ে যাওয়া এবং দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতিকেই মূলত দায়ী করছেন সংশ্লিষ্টরা। 

Link copied!