• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৮ জ্বিলকদ ১৪৪৫

ঢাকা মেডিকেলে স্বজনদের আহাজারি


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ১, ২০২৪, ০৯:০৯ এএম
ঢাকা মেডিকেলে স্বজনদের আহাজারি
ঢামেক হাসপাতালের সামনে মরদেহের অপেক্ষায় স্বজনরা। ছবি : সংগৃহীত

বেইলি রোডের ভবনে লাগা আগুনে নিহতদের সারি সারি মরদেহ পড়ে আছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে। আপনজনদের মরদেহ নিতে মর্গের পাশেই অপেক্ষা করছেন নিহতদের স্বজনরা। তাদের আহাজারিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা যেন ভারী হয়ে উঠেছে।

শুক্রবার (১ মার্চ) ভোর ৫টা ২০ মিনিটে সরেজমিনে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গ ও জরুরি বিভাগের সামনে দেখা যায়, আগুনে পুড়ে নিহতদের মরদেহ নিতে স্বজনরা অপেক্ষা করছেন। অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়ছেন।

ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের পাশেই অস্থায়ী তথ্য ও সেবাকেন্দ্র খোলা হয়েছে। সেখানে স্বজনরা পূর্ণ ঠিকানাসহ অন্যান্য কাগজপত্র জমা দিয়ে মরদেহ বুঝে নেওয়ার প্রক্রিয়ার শেষ করছেন।

এদিকে নিহতদের মরদেহ শনাক্ত করে তা হস্তান্তরের প্রক্রিয়অ শুরু করেছে ঢাকা জেলা প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত দুইটার পর থেকে ঢাকা জেলা প্রশাসন লাশ হস্তান্তরের জন্য নিহত ব্যক্তিদের স্বজনদের তথ্য চান। তথ্য সংগ্রহসাপেক্ষ মরদেহ শনাক্তের পর লাশ হস্তান্তর শুরু হয়।

এখন পর্যন্ত ১৬ জনের তথ্য রয়েছে ঢাকা জেলা প্রশাসনের কাছে। রাতেই ঢাকা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে নিহত ব্যক্তিদের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে পুলিশ। এরপর মরদেহগুলো স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

কলাবাগান থানার উপপরিদর্শক (এএসআই) গোলাম হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, নিহত ব্যক্তিদের স্বজনেরা যাদের শনাক্ত করেছেন, আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাঁদের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে ভবনটিতে আগুন লাগে। আগুন নেভানোর পর হতাহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়।

রাত দুইটার দিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন সাংবাদিকদের বলেন, এ ঘটনায় ৪৩ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মরদেহ এই দুই হাসপাতালে আছে। এর বাইরে আরও মৃত ব্যক্তি থাকতে পারে।

এ ঘটনায় গুরুতর আহত ৮ জন বার্ন ইনস্টিটিউটে এবং ১৪ জন ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন বলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান। তিনি বলেন, তাদের সবার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

Link copied!