• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

যে দোষ করিনি, সেই দোষের শাস্তি পেলাম : ড. ইউনূস


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১, ২০২৪, ০৪:৩০ পিএম
যে দোষ করিনি, সেই দোষের শাস্তি পেলাম : ড. ইউনূস
রায় ঘোষণার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ড. ইউনূস। ছবি : সংগৃহীত

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ৩০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।

সোমবার (১ জানুয়ারি) রায় ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ড. ইউনূস। তিনি বলেন, “যে দোষ করিনি, সেই দোষের শাস্তি পেলাম। এটাকে ন্যায়বিচার যদি বলতে চান, তাহলে বলতে পারেন।”

রায়ে ৩০ দিনের মধ্যে শ্রমিকদের চাকরিস্থায়ী করা, কল্যাণ তহবিলের গঠন ও শ্রমিকদের ৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পরে আপিলের শর্তে ৫ হাজার টাকা বন্ডে চারজনকেই এক মাসের জামিন দিয়েছেন আদালত।

অন্য জামিনপ্রাপ্তরা হলেন গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।

এদিন দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে আদালতে উপস্থিত হন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আদালত চত্বর ও আশপাশে ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। মোতায়েন করা হয় বিপুল সংখ্যক পুলিশ। খবর সংগ্রহের জন্য ভিড় জমান দেশি-বিদেশি গণমাধ্যম প্রতিনিধিরা।

গত ২৪ ডিসেম্বর এ মামলায় উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রাত সোয়া ৮টার দিকে রায়ের জন্য ১ জানুয়ারি দিন ধার্য করেন আদালত।

এর আগে ২২ আগস্ট এই মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ৮ নভেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য দেন তারা। এর পর থেকে মামলাটিতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু হয়। সেই থেকে ১০ দিনের মতো যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করা হয়।  

মামলার অন্য তিন বিবাদী হলেন গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।

৮ মে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা বাতিলের আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের লিভ টু আপিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। এরপর ৬ জুন আদালত তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন। ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন। মামলায় শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় অভিযোগ আনা হয়।

Link copied!