সরকার আলুর দাম নির্ধারণের পর দেশের কয়েকটি জেলার হিমাগার থেকে বিক্রি বন্ধ করে দিলেও সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে রাজধানীর বাজারগুলোতে। সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও নির্ধারিত দামের বাইরে এখনো বিক্রি হচ্ছে আলু। ফলে সরকারি সিদ্ধান্তের সুফল পাচ্ছেন না সাধারণ ক্রেতারা।
মনির হোসেন নামের এক ক্রেতার সঙ্গে কথা হলে অভিযোগ করে তিন বলেন, “পাইকারি প্রতি কেজি আলুর দাম ২৭ টাকা, আর খুচরা ৩৭ টাকা শুনেছি। কিন্তু কোথায় কী? আমাকে কিনতে হলো ৪৪ টাকা করে কেজি। এই দাম অনেক বেশি। সরকারের দেওয়া দামে বিক্রি হওয়ার কথা বললেও হচ্ছে না। দাম নিয়ে তদন্ত করেও লাভ নেই। বললে সবকিছু হয় না। এর গোড়াতেই সমস্যা রয়েছে।”
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের আলুর আড়তে কথা হয় তার সঙ্গে। আলাপচারিতায় সংবাদ প্রকাশকে তিনি এসব কথা বলেন। শুধু মনির হোসেন নয়, তার মতো অনেক ক্রেতার কথা ঠিক একই রকম।
অপরদিকে ব্যবসায়ীদের শঙ্কা, দীর্ঘদিন হিমাগার বন্ধ থাকলে বাজারে দেখা দেবে আলু সংকট। এতে আরও বাড়তে পারে আলুর দাম।
বাজার ঘুরে জানা যায়, বাজারে লাল ও সাদা দুই ধরনেও আলুর সরবরাহ রয়েছে। দামের তারতম্য না থাকলেও বাজারে লাল আলুর চাহিদা বেশি। পাইকারি বাজারে আলু প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৬ থেকে ৩৮ টাকা। আর খুচরা বাজারে ৪৪ থেকে ৪৫ টাকা।
রাইহান কবির নামের আরেক ক্রেতার সঙ্গে কথা হয় কারওয়ান বাজারের আলুর খুচরা দোকানের সামনে। তিনি বলেন, “আলু প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় থাকে। এর দাম সরকার বেঁধে দিলেও উপকার পাচ্ছি না। আগের দামেই কিনতে হচ্ছে। দ্রুত এর সমাধান করা দরকার।”
আব্দুল খালেক নামের আলুর পাইকারি বিক্রেতা বলেন, “হিমাগারে আলু বিক্রি বন্ধ হলেও এর প্রভাব বাজারে পড়েনি। সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। তবে দীর্ঘ দিন বিক্রি বন্ধ থাকলে সংকট দেখা দিবে। তখন আরও দাম বাড়তে পারে। আর নির্ধারিত দামে বিক্রি করতে পারছি না। কীভাবে করবো? আমরা দুই টাকা লাভের ব্যবসায়ী। আমরা কম দামে না পেলে, বিক্রি করার উপায় নেই।”
বিল্লাল নামের আরেক পাইকারি বিক্রেতা বলেন, “হিমাগারের আলু বিক্রি বন্ধ করা যুক্তিযুক্ত উপায় আমি মনে করি না। আর এক-দুই মাসের মধ্যে নতুন আলু উঠবে। তখন এসব পুরাতন আলু ঘুরেও দেখতে চাইবে না। তাই বিক্রি করাই ভালো। সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি করতে পারছি না। বড় ব্যবসায়ীরা দিলে আমরাও দিতে পারব।”