রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রতি কেজি আনার বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকায়। অথচ দশ দিন আগে বাজারে এই ফলের দাম ছিল সর্বোচ্চ ৪৫০ টাকা কেজি। শুধু আনার নয়, বাজারে অধিকাংশ ফলের দাম বেড়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। অনেক ক্রেতা বলছেন, ফলের বাজার নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।
সোমবার (২ অক্টোবর) বাজারের ফলের দোকানগুলো ঘুরে দেখা যায়, আপেল প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকা। কমলা ৩১০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি, আম ২৩০ থেকে ২৫০ টাকা, পেয়ারা ৬০ থেকে ৮০ টাকা, ড্রাগন ফল ২৮০ টাকা কেজি এবং আনারস প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়।
এদিকে, দশ দিন আগে সর্বোচ্চ আপেল প্রতি কেজির দাম ছিল ২৬০ টাকা। কমলা ২৮০ টাকা, আম ২০০ টাকা, পেয়ারা ৫০ টাকা, ড্রাগন ফল ২৪০ টাকা এবং আনারস প্রতি পিসের দাম ছিল ৪০ টাকা।
অপরদিকে দাম কমেছে আঙুরের। বাজারে প্রতি কেজি আঙুর বিক্রি হচ্ছে ৩৮০ থেকে ৪০০ টাকা। দশ দিন আগে এই ফলের সর্বোচ্চ ছিল ৫০০ টাকা। এ ছাড়া বাজারে পেঁপের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। প্রতি কেজি পেঁপে ৭০ থেকে ৯০ টাকা, তরমুজ ৬০ টাকা এবং জাম্বুরা প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সিন্ডিকেটের কারণে বাজারে ফলের দাম বেড়েছে।
আব্দুল মতিন নামের এক ক্রেতার সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, “ফলের দাম স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। খুব প্রয়োজন না হলে, কেউ ফল কিনে খাবে না।”
মাহবুব নামের আরেক ফল ক্রেতা বলেন, “পেয়ারা আগে ৫০ টাকায় কিনতাম। এখন কিনতে হচ্ছে ৬৫ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে। কাজেই বলাই যায়, ফলের বাজারও অস্থির। আমড়া তো কখনই ৫০ টাকার ওপরে কিনিনি। আজকে ৬৫ টাকায় কিনলাম। এতে ফল কিনতে অসুবিধা হচ্ছে। পরিমাণে কম খেতে হচ্ছে। এতে পুষ্টির অভাব হলেও কিছুর করার নেই।”
ফল বিক্রেতা নজরুল ইসলাম বলেন, “বাইরের (বিদেশি) ফলের দাম তুলনামূলক বেশি। দেশি ফলের দাম কম। এখন আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়ায় দামের তারতম্য হচ্ছে। তাছাড়া সিন্ডিকেট আছে।”
মিঠুন নামের আরেক ফল বিক্রেতা বলেন, “গত ৮ থেকে ১০ দিনে বেচাকেনা কমেছে। মানুষের হাতে টাকা পয়সা নেই। নতুন মাস শুরু হয়েছে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মাত্র ৫০০ টাকা বিক্রি করছি। আগের চেয়ে ফলের দামও বেশি। বিক্রি কমে যাওয়ায় ফল ব্যবসায়ীদের অবস্থাও ভালো নয়।”