• ঢাকা
  • সোমবার, ২০ মে, ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

দোষ স্বীকার করলেন মুফতি ইব্রাহিম


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৬, ২০২৩, ০২:৫৪ পিএম
দোষ স্বীকার করলেন মুফতি ইব্রাহিম

ট্রাইব্যুনালে দোষ স্বীকার করেছেন মুফতি কাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিম। উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানিতে তিনি নিজের দোষ স্বীকার করেছেন।  

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ কে এম জুলফিকার হায়াতের আদালতে তিনি দোষ স্বীকার করেন।

গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নজরুল ইসলাম শামীম।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগ গঠনে দোষ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করায় আদালত গ্রেপ্তারের পর থেকে এ পর্যন্ত কারাভোগকে সাজা হিসেবে প্রদান করেন। সেই হিসেবে তিনি এ মামলায় এক বছর তিন মাস ১৯ দিনের সাজা ভোগ করলেন।

মামলার অভিযোগে থেকে জানা যায়, কাজী ইব্রাহিম তার বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিল ও খুতবা দেওয়ার সময় মিথ্যা উসকানিমূলক ও ভয়ভীতি-সংবলিত ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার ও প্রকাশ করেন। প্রচারিত ভিডিও সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদকালে তিনি এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। এ ছাড়া জিজ্ঞাসাবাদে উসকানিমূলক ভিডিওগুলোতে প্রচারিত বক্তব্য তার নিজের বলে স্বীকার করেন।

ফেসবুক ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মিথ্যা, আক্রমণাত্মক ও ভীতি প্রদর্শনমূলক বিভিন্ন ভিডিও প্রচার ও প্রকাশ করে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিসহ আইনশৃঙ্খলা অবনতি ঘটিয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ২৫/৩১/৩৫ ধারায় অপরাধ করেছেন কাজী ইব্রাহিম।

২০২১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাজধানীর লালমাটিয়ার বাসা থেকে তাকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। আটক করতে গেলে ফেসবুক লাইভে এসে হিন্দুস্তানি দালাল ও র-এর এজেন্ট তার বাসা ঘিরে রেখেছে বলে মন্তব্য করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও ইউটিউবে বিভিন্ন উগ্রবাদী বক্তব্য, বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়ানোর অভিযোগে ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক মুন্সি আব্দুল লোকমান বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলাটি করেন। এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়।

শুনানি শেষে আদালত তার দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে একই বছরের ২ অক্টোবর জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। 
 

Link copied!