প্রকৃতিজুড়ে শরতের আনাগোনা। শীতের দেখা মিলতে বাকি আরও দুই মাস। এর আগেই বাজারে উঁকি দিচ্ছে শীতকালীন সবজি। আগাম এসব সবজির দামে থমকে যাচ্ছেন ক্রেতা। বাজারে এসব সবজির দাম বেশ চড়া। এসব সবজি উচ্চবিত্তের খাবার, নিম্নবিত্তরা ছুঁতে পারছেন না দামের কারণে।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা যায়, এসব সবজির মধ্যে শিম, মুলা, ফুলকপি, বাঁধাকপি এবং টমেটো আমদানি হয়েছে।
খুচরা বাজারে শিম প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। মুলা ৫০, ফুলকপি ৬০, বাঁধাকপি (প্রতি পিস) ৪০ এবং টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকায়।
পাইকারি বাজারে শিম প্রতি কেজির দাম ১৫০ টাকা। মুলা ৪৫ , ফুলকপি ৪০, বাঁধাকপি (প্রতি পিস) ৩০ এবং টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদার চেয়ে আমদানি কম হওয়ায় বাজারে দাম বেশি এসব সবজির। আমদানি বেশি হলে দাম দ্রুতই কমবে এমন প্রত্যাশা তাদের।
শাহিদ নামের এক যুবক কারওয়ান বাজারে এসেছেন সবজি কিনতে। একটি দোকানে দেখা গেল শীতকালীন সবজি নিয়ে দর কষাকষি করছেন তিনি। কথা হলে সংবাদ প্রকাশকে তিনি বলেন, “নতুন সবজি পরিবারের সবাই প্রথমে খেতে চায়। তাই কিনতে চেয়েছিলাম। কিন্তু দাম বেশি হওয়ায় কিনতে পারছি না। সবজির দাম এমনিতেই বেশি। আর শীতকালীন সবজির দাম তো আরও চড়া।”
মাসুদ মিয়া নামের আরেক সবজি ক্রেতা সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “সবজির দাম অনেক বেশি। শুধুমাত্র যাদের টাকা আছে, তাদেরই ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে আছে এই সবজি। বাকিদের নেই বললেই চলে। বাজারে শিম দেখতে পাচ্ছি। শীতের আগেই আসছে। শিমের দাম শুনলাম প্রতি কেজি ১৬০ টাকা। এই দামে কিনে খাওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়।”
আলামিন নামের এক সবজি বিক্রেতার সঙ্গে কথা হলে তিনি সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “বাজারে প্রতিটি সবজির দাম বেড়েছে। এসবের মাঝে ১৫ থেকে ২০ দিন আগে শীতকালীন সবজি বাজারে এসেছে। অন্যান্য সবজির চেয়ে দাম বেশি। নতুন সবজি হওয়ায় চাহিদা খারাপ নয়। কিন্তু দামের কারণে ক্রেতা ৫০০ গ্রামের জায়গায় ২৫০ গ্রাম নেয়।”
আমির চাঁদ নামের আরেক সবজি বিক্রেতা সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “১৫ থেকে ২০ দিন আগে বাজারে যখন শীতকালীন সবজি আসতে শুরু করে। তখন দাম তুলনামূলক বেশি ছিল। যেমন- শুরুর দিকে শিম বিক্রি করছি ২২০ টাকার উপরে। এখন প্রতি কেজির দাম ১৬০ টাকা। দাম কমে যাওয়ায় এসব সবজির বিক্রি বেড়েছে। সরবরাহ বাড়লে দাম কমবে।”
আপনার মতামত লিখুন :