জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের পরিচালক নাসির উদ্দীন বলেছেন, সিঙ্গাপুরের একজন বিশেষজ্ঞ নিয়ে আজ আমরা বসেছি। বৈঠকে রোগীদের অবস্থা পর্যালোচনা করে ৩টি ভাগ করেছি। এখানে ক্রিটিক্যাল ক্যাটাগরিতে ৮ জন রোগী আছে। তারা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে। তাদের অবস্থা ঘণ্টায় ঘণ্টায় পরিবর্তন হচ্ছে। তাদের বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না।
সিভিয়ার ক্যাটাগরিতে আছে ১৩ জন রোগী। ইন্টারমেডিয়েট ক্যাটাগরিতে আছে ২৩। তাদের দ্রুত ভালোর দিকে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। সব মিলে মোট ৪৪ জন রোগী এখানে ভর্তি আছে।
বুধবার (২৩ জুলাই) জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলনে পরিচালক নাসির উদ্দীন এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “রোগীদের এই তিন ক্যাটাগরি আমাদের ডায়নামিক প্রসেস। রোগীদের অবস্থাভেদে এসব ক্যাটাগরি পরিবর্ত হতে পারে। সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে এ ক্যাটাগরি করা হয়েছে।”
তিনি বলেন, “আমাদের এখানকার প্রত্যেক রোগী নিয়ে আজ আলোচনা করেছি। কারও অপারেশন লাগবে কি না, কার কী পরিমাণ ড্রেসিং লাগবে, ওষুধ পরিবর্তন হবে কি না; সব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।”
তিনি বলেন, “সিঙ্গাপুরের প্রতিনিধি কতদিন থাকবে, এটা এখনো ঠিক হয়নি। তারা কতদিন থাকতে চায়। সেটা পরে জানাবো।”
তিনি বলেন, “সিঙ্গাপুরের বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, প্রায় বেশ কিছু জায়গায় তিনি আমাদের সঙ্গে একমত। কিছু বিষয়ে তিনি আমাদের পরামর্শ দিয়েছেন। আমেরিকাও আমাদের সহযোগিতা করতে চাচ্ছে। সবার পরামর্শ নেওয়া হবে।”
‘এই মুহূর্তে দগ্ধদের বিদেশ নেওয়ার পরিকল্পনা নেই। এখানে যে প্রটোকলে আছে সেটাই ফলো করব’ বলে জানান তিনি।