ধর্মান্তরিত হওয়ার চার মাস পর গলায় ফাঁস দিয়েছেন আলভী আহম্মেদ জয় (২২) নামের এক যুবক। আলভীর আগের নাম ছিল জয়ন্ত দাস জয়। তার বাবার নাম কেশব চন্দ্র দাস। বাউফলের কাছিপাড়া ইউনিয়নের কাছিপাড়া গ্রামে তার বাড়ি।
আলভী চলতি বছর ৮ মে ঢাকার ১ম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হলফনামার মাধ্যমে হিন্দুধর্ম ত্যাগ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
আলভী ধর্মান্তরিত হওয়ার পর ঢাকার উত্তরা দক্ষিণখান এলাকায় একটি আধাপাকা টিনশেড ঘরের একটি রুমে ভাড়া থাকতেন এবং একটি কলেজে অনার্সে পড়াশো করতেন। শনিবার (৩০ আগস্ট) দিবাগত গভীর রাতে তিনি ওই টিনশেড রুমের কাঠের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। পরের দিন রোববার (৩১ আগস্ট) সকালে ঘরের মালিক আলভীর সাড়া না পেয়ে জানালার ফাঁক দিয়ে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে এবং আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার বড় ভাই বাপ্পীর কাছে লাশ হস্তান্তর করে।
আলভীর আত্মহত্যার সুনির্দিষ্ট কোনো কারণ না জানা গেলেও স্থানীয় কয়েকটি সূত্র জানিয়েছে আলভী কালিশুরী ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামে একটি মুসলিম মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক করে। ওই মেয়েকে বিয়ে করার জন্যই তিনি ধর্মান্তরিত হন। কিন্তু আলভী ধর্মান্তরিত হওয়ার কিছুদিন পর মেয়েটি তার সঙ্গে যোগযোগ বন্ধ করে দেয়। এতে তিনি হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েন। পরে নিরুপায় হয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
রোববার দিবাগত রাতে আলভীর লাশ সরাসরি নিয়ে আসা হয় বাউফলে গ্রামের বাড়ি। যেহেতু আলভী ধর্মান্তরিত হয়েছেন তাই লাশ দাফন হবে নাকি দাহ হবে সেই সিদ্ধান্ত পেতে লাশ নিয়ে আসা হয় বাউফল থানায়। এখনও থানার সামনে আলভীর লাশ রাখা রয়েছে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সোমবার সকাল ১০টা ৫২ মিনিট ওসি থানায় না পৌঁছানোর কারণে আলভীর লাশ দাফন হবে নাকি দাহ হবে সেই সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি।