• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শুধু কীটনাশক দিয়ে ডেঙ্গু মোকাবিলা সম্ভব নয় : মেয়র তাপস


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মে ৩১, ২০২৩, ০৬:৪০ পিএম
শুধু কীটনাশক দিয়ে ডেঙ্গু মোকাবিলা সম্ভব নয় : মেয়র তাপস

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, “শুধু কীটনাশক প্রয়োগ করে ডেঙ্গু মোকাবিলা সম্ভব নয়, এ জন্য সামাজিকভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।”

বুধবার (৩১ মে) বাসাবো বৌদ্ধ মন্দির সংলগ্ন সংঘনায়ক শুদ্ধানন্দ সড়কের নামফলক উন্মোচন, সড়ক উদ্বোধন ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে গণ-লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ তাপস বলেন, “আসন্ন বর্ষা মৌসুমকে মাথায় রেখে ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে আমরা সচেতনতামূলক গণ-লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। আমরা ঘরে ঘরে এই লিফলেট বিতরণ করতে চাই। এর মাধ্যমে ডেঙ্গুকে আমরা সামাজিকভাবে মোকাবিলা ও প্রতিরোধ করতে চাই। কারণ শুধু কীটনাশক প্রয়োগ করে ডেঙ্গু মোকাবিলা ও এডিস মশার বিস্তার রোধ করা সম্ভব নয়।”

ডেঙ্গু প্রতিরোধে ঢাকাবাসীকে সচেতন হওয়ার অনুরোধ জানিয়ে মেয়র বলেন, “আপনার বাসা-বাড়ি, স্থাপনার অভ্যন্তরে যে পানি জমে, থেমে থেমে বৃষ্টির ফলে যে পানি জমে, আগে আমরা বলতাম- তিন দিনে এক দিন জমা পানি ফেলে দিন। আমরা এখন বলছি, পারলে নিয়মিত প্রতিদিন, জমা পানি ফেলে দিন। কোথাও যদি আমরা পানি জমতে না দেই, তাহলে আমরা এই এডিস মশার বিস্তার রোধ করতে পারব। ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে পারব।“

পর্যায়ক্রমে অন্যান্য সড়কগুলোকে আরও উন্নত ও প্রশস্ত করার পরিকল্পনা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, “এই সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা দেখেছেন, এটি দীর্ঘদিন জলাবদ্ধতায় নিমগ্ন ছিল। এই এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনে আমরা নর্দমা নির্মাণ করেছি, দুপাশে হাঁটার জন্য পথের ব্যবস্থা করেছি। এটি বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী বৌদ্ধ মন্দির ও উপাসনালয়। আমরা এই মন্দিরের প্রয়াত সংঘনায়ক শুদ্ধানন্দের নামে আমরা এই সড়কটির নামকরণ করেছি। এই সড়কটি প্রশস্ত করার ফলে এ এলাকার মানুষ উপকার পাবে। আমরা যে নকশা করেছি তা পরিপালন করে পর্যায়ক্রমে ঢাকা-৯ আসনের মুগদা সড়কসহ মূল সড়কগুলোকে আরও উন্নত করব। এর মাধ্যমে এ এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসনের পাশাপাশি আধুনিক সড়ক ব্যবস্থাপনাও নিশ্চিত হবে।”

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, “মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে দুই সিটি করপোরেশনেরই কীটনাশক কমিটি রয়েছে। কমিটিতে বিভিন্ন পর্যায়ের বিশেষজ্ঞরা রয়েছেন। কমিটির বিশেষজ্ঞদের মতামত ও সুপারিশের ভিত্তিতে আমরা পুরো বছরের কীটনাশক আমদানি ও মজুত করেছি। এছাড়া ২০২০ সালের পর থেকে আমাদের কীটনাশকের মান নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই।”

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফি, বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সভাপতি ভদন্ত বুদ্ধপ্রিয় মহাথের, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. রানা দাশগুপ্ত, কর্পোরেশনের সচিব আকরামুজ্জামান, পরিবহন মহাব্যবস্থাপক মো. হায়দর আলী, অঞ্চল-২ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা সোয়ে মেন জো, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির ও ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চিত্তরঞ্জন দাস।

Link copied!