আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা।
রোববার (৬ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
রাশেদা সুলতানা বলেন, “নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহারে আইনি বাধ্যবাধকতা নেই, তাই ক্যামেরা ব্যবহারে বাধ্য নয় কমিশন।”
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের জন্য ২৭০ কোটি টাকার প্রকল্প প্রস্তুত করে ইসির সংশ্লিষ্ট শাখা। ইভিএমের পর ভোটকেন্দ্রে এ প্রকল্প থেকেও সরে এলো ইসি। ফলে আগামী জাতীয় নির্বাচনে আর ব্যবহার হচ্ছে না সিসি ক্যামেরা।
এর আগে এদিন ‘পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভিসা দিলে বিদেশি পর্যবেক্ষক নিয়ে কোনো আপত্তি নেই’ বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর।
তিনি বলেছেন, “দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকের বিষয়ে কোনো চাপ নেই। আর চাপ থাকবে কেন। আমরা প্রথম থেকেই বলছি, বিদেশি পর্যবেক্ষক যত খুশি আসতে পারে। আমাদের পক্ষ থেকে কোনো লিমিটেশন নেই। বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আমাদের কাছে আবেদন করলে সেটা আমরা পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিই। তারা আবার এটা পর্যালোচনা করে দেখে যে, আবেদনকারীরা আসলেই পর্যবেক্ষক কি না, অতীতে পর্যবেক্ষণে সম্পৃক্ত ছিল কি না। তারা মানবপাচারের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পারে অথবা অন্য অন্যায় কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পারে। তারা এগুলো দেখেন। এরপর ভিসা দেওয়া হলে আমাদের পক্ষ থেকে আপত্তি থাকে না।”
তিনি বলেন, “এবারও নির্বাচন ব্যালটেই হবে। আগেও যেভাবে এগুলো হয়েছে, এবারও সেভাবেই হবে। ব্যালটে নির্বাচনে যাতে কোনোরকম অপব্যবহার না হতে পারে সেজন্য আমাদের কিছু কৌশল আছে, সেগুলো আমরা প্রয়োগ করার চেষ্টা করব। তার মধ্যে যেমন একটা, আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর নির্বাচনের দিন সকালে ব্যালট পেপার পাঠাই। তবে যদি যোগাযোগ ব্যবস্থা দিক থেকে বাজে অবস্থা না থাকে বা উন্নত না হয়, সেক্ষেত্রে একটু আগে পাঠাই। যোগাযোগ যেখানে ভালো, ভোট ৮টায় শুরু করলে ভোট শুরু হওয়ার আগেই যেখানে পৌঁছাতে পারবে সেসব কেন্দ্রে আমরা সকালে ব্যালট পাঠাই।”