ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার বাসভবনে প্রায় দেড় ঘণ্টার বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) এই বৈঠকে শেখ হাসিনা বলেন, “ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের রক্তের সম্পর্ক।” এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈঠকে শেখ হাসিনা নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হস্তক্ষেপ ও চাপের কথা তুলে বলেন, “এর ফলে আঞ্চলিক অসাম্য ও সন্ত্রাসবাদ উৎসাহ পাবে।”
এ সময় তিনি মোদিকে আরও জানান, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বাণিজ্যিক। আর মুক্তিযুদ্ধে সহায়তা দেওয়া ভারতের সঙ্গে রক্তের সম্পর্ক দেশটির।
বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনের আগে এটিই শেখ হাসিনার শেষ ভারত সফর। তাই সফরটির গুরুত্ব যথেষ্ট বলেই ধারণা করা হচ্ছে। বৈঠক নিয়ে নির্বাচন সংক্রান্ত আলোচনায় এক প্রশ্নের উত্তরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, “নির্বাচন নিয়ে আমাদের সামনে তাদের কোনো কথা হয়নি।”
এর আগে, শুক্রবার বিকেলে শেখ হাসিনা নরেন্দ্র মোদির সরকারি বাসভবনে পৌঁছান। এ সময় দরজায় এসে অভ্যর্থনা জানান মোদি। ইতিবাচক আবহে হওয়া এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ভারতের নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল, পররাষ্ট্রমন্ত্রীম এস জয়শঙ্করসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। বাংলাদেশের পক্ষে ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে তিনটি সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে। কৃষি ক্ষেত্রে গবেষণায় সহযোগিতার জন্য ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব রিসার্চ ও বাংলাদেশ এগ্রিকালচারাল রিসার্চ কাউন্সিল স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ ছাড়া দুই দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় ও দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সংক্রান্ত একটি চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে।
জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে সংক্ষিপ্ত সফরে দিল্লি গিয়েছেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মোদি।