• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা ও ইক্যুমেনিজম পরস্পর পরিপূরক


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মার্চ ২৬, ২০২৪, ০৬:৪৭ পিএম
বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা ও ইক্যুমেনিজম পরস্পর পরিপূরক

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে ‘বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা ও ইক্যুমেনিজম’ শীর্ষক এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে মিরপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চ এবং ইক্যুমেনিক্যাল খ্রিষ্টান ট্রাস্ট (ইসিটি)। সভায় বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতা ও ইক্যুমেনিজম পরস্পর পরিপূরক।

মঙ্গলবার (২৬ ) মিরপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চ প্রাঙ্গণে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারের পরিচালক মৃন্ময় চক্রবর্তী। সভাপতিত্ব করেন ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যান উইলিয়াম প্রলয় সমদ্দার (বাপ্পি)। আরও উপস্থিত ছিলেন-ইসিটি ট্রাস্টি বোর্ডের সেক্রেটারি ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস, ইসিটি ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও বঙ্গবন্ধু গবেষক মেজর (অব.) আফিজুর রহমান, মিরপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চের সিনিয়র পাস্টর রেভারেন্ড মার্টিন অধিকারী এবং ইসিটি বোর্ডের ট্রেজারার জন সুশান্ত বিশ্বাস।

আলোচনা সভায় বক্তারা বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস এবং বিভিন্ন ধর্মের মধ্যে ভ্রাতৃত্ববোধ ও সহযোগিতার গুরুত্বের ওপর আলোকপাত করেন।

মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাস। তিনি বলেন, “স্বাধীনতার যে সুবর্ণ জয়ন্তী আমরা পেরিয়ে এসেছি, সেখানে বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শিতার সত্যতা জাতি পেয়েছে। পররাষ্ট্র নীতিতে বঙ্গবন্ধু সকলের সঙ্গে যে বন্ধুত্ব করতে চেয়েছিলেন, তা ইক্যুমেনিজমের এক জ্বলন্ত উদাহরণ।”

বঙ্গবন্ধু গবেষক মেজর (অব.) আফিজুর রহমান বলেন, “৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু কোন মুক্তির কথা বলেছিলেন? তিনি বলেছিলেন, ‘আমাদের মুক্তির সংগ্রাম’। অর্থাৎ আমাদের সবার মুক্তির কথা। সেখানে কোনো ধর্ম ছিল না, উনি সবার মুক্তি চেয়েছিলেন। সেখানে ধর্মনিরপেক্ষতা ছিল।”

প্রধান অতিথি হিসেবে ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারের পরিচালক মৃন্ময় চক্রবর্তী বলেন, “আজ মানুষ খুব আগ্রাসী মনোভাবের, এক দেশের মানুষ অন্য দেশের মানুষকে আক্রমণ করছে। এক ধর্মের মানুষ অন্য ধর্মের মানুষকে আক্রান্ত করছে। এই আগ্রাসী মনোভাব থেকে বের হয়ে আসতে হবে। সবাইকে এক হয়ে বাঁচতে হবে, একসাথে থাকতে হবে। এটাই ইক্যুমেনিজমের বৈশিষ্ট্য।”

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা নির্মল বাইন এবং বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দীপিকা রাণী সমদ্দার।

সভাপতির ভাষণে ইসিটি ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যান উইলিয়াম প্রলয় সমদ্দার (বাপ্পি) ‘ইক্যুমেনিজমে’র ওপর বিস্তারিত আলোকপাত করেন। তিনি নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে বিষয়টির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে প্রার্থনা করেন রেভারেন্ড প্রিন্স কিরণ এবং অনুষ্ঠান শেষ হয় বিশপ পল শিশির সরকারের প্রার্থনার মধ্য দিয়ে। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন টমাস সিংহ।

Link copied!