আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে ২১টি কোরবানির পশুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুই সিটি করপোরেশন। ঈদের দিনসহ মোট পাঁচ দিন বসবে হাট। এরমধ্যে স্থায়ী হাট হিসেবে রয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার গাবতলী পশুর হাট ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সারুলিয়া পশুর হাট।
এদিকে বিগত বছরগুলোর মতো এবারও কোরবানির পশু বেচাকেনা করতে অস্থায়ী হাটের পাশাপাশি ডিজিটাল হাট চালু রাখবে ডিএনসিসি। সব হাটে পশু বিক্রির হাসিল শতকরা পাঁচ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ডিএনসিসি জানিয়েছে, ডিজিটাল হাটে পশু ক্রয়-বিক্রয়ের নিয়ম ঠিক করে দেওয়া হবে। এতে পশু বিক্রির কী কী নিয়ম মানতে হবে, কী কী তথ্য থাকবে তা উল্লেখ করে দেওয়া হবে। তবে এই প্ল্যাটফরমে ই-ক্যাব এবং বিডিএফএর অনুমোদিত সদস্যের প্রতিষ্ঠান কেবল অংশ নিতে পারবে। এ ছাড়া জেলা প্রশাসকদের অনুমোদিত বিক্রেতারা তাদের পশু বিক্রি করতে পারবেন।
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, ডিএসসিসির দরপত্র আহ্বান করা ১১টি কোরবানির পশুর হাটের মধ্যে রয়েছে- খিলগাঁও মেরাদিয়া বাজার, উত্তর শাহজাহানপুর খিলগাঁও রেলগেট বাজারসংলগ্ন মৈত্রী সংঘ মাঠ, আরমানিটোলা খেলার মাঠ ও আশপাশের খালি জায়গা, কমলাপুর স্টেডিয়ামের আশপাশের খালি জায়গা, ঝিগাতলা হাজারীবাগ মাঠ, পোস্তগোলা শ্মশানঘাট সংলগ্ন খালি জায়গা, দনিয়া কলেজ মাঠ সংলগ্ন খালি জায়গা, শ্যামপুর বালুর মাঠ, সাদেক হোসেন খোকা মাঠ সংলগ্ন ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনাল ও সংলগ্ন খালি জায়গা, ব্রাদার্স ইউনিয়ন সংলগ্ন বালুর মাঠ এবং কামরাঙ্গীরচর ইসলাম চেয়ারম্যানের বাড়ির মোড় থেকে দক্ষিণ দিকে বুড়িগঙ্গা নদীর বাঁধ সংলগ্ন জায়গা।
এছাড়া ডিএনসিসির এলাকার অস্থায়ী ৮টি পশুর হাটগুলোর মধ্যে রয়েছে, ভাটারা (সাইদ নগর), উত্তরা দিয়াবাড়ি ১৬ ও ১৮ নং সেক্টর সংলগ্ন এলাকা, বাড্ডা ইস্টার্ন হাউজিংয়ের (আফতাব নগর) পূর্ব পাশের খালি জায়গা, মিরপুর সেকশন ৬, মোহাম্মদপুর বসিলা এলাকা, ঢাকা পলিকটিকন খেলার মাঠ, কাওলা শিয়ালডাজ্ঞা, ৪৪নং ওয়ার্ডের কাঁচকুড়া এলাকা।
কোরবানির পশুর হাট বিষয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. রাসেল সাবরিন সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “আমরা ১১টি অস্থায়ী পশুর হাট বসাবো। নির্ধারিত স্থানের বাইরে কোথাও পশুর হাট বসতে দেওয়া হবে না।”
তিনি আরও বলেন, “যেসব খেলার মাঠে ইজারা দেওয়া হয়েছে সেখানে ঈদ শেষে ইজারাদার খেলার মাঠ আবার পূর্বের জায়গায় ঠিক করে দিতে হবে। মাঠে বাইরে রাস্তায় পশু রাখলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা সংবাদ প্রকাশকে বলেন, “গতবারের তুলনায় এবার ইজারা মূল্য বেড়েছে। এবার আমরা ডিএনসিসি এলাকায় ৮টি অস্থায়ী হাট বসাবো। হাটে আসা পশু অনলাইনে প্রদর্শনের ব্যবস্থা রাখা হবে। হাটগুলোয় স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। হাটগুলোর প্রবেশ ও বের হওয়ার পথ আলাদা থাকতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “ঈদুল আজহায় পশুর হাট ইজারা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ অন্য অনেক কাজ থাকে। এ কাজের জন্য অন্তত দুই-তিন মাস আগ থেকেই প্রস্তুতি নিতে হয়। গাবতলীর স্থায়ী হাটেও কোরবানির পশু বিক্রি করা হবে। নগরে যাতে পশু কোরবানি এবং বর্জ্য অপসারণ সঠিক ব্যবস্থাপনায় হয়, তার সার্বিক প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।”
আপনার মতামত লিখুন :