• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২১ নভেম্বর, ২০২৫, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩২, ২৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

ভূমিকম্প: যেসব কারণে ঢাকায় ঝাঁকুনি বেশি


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০২৫, ০২:০২ পিএম
ভূমিকম্প: যেসব কারণে ঢাকায় ঝাঁকুনি বেশি

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিস) জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির তীব্রতা ছিল ৫ দশমিক ৭। এর কেন্দ্রস্থল নরসিংদীর মাধবদী।  

ভূমিকম্পের ঘটনায় রাজধানীর বেশ কিছু বহুতল ভবন হেলেপড়াসহ ভবন ধসে পড়ার ঘটনাও ঘটেছে। জনমনে প্রশ্ন উঠেছে, ঢাকায় ঝাঁকুনি বেশি অনুভত হওয়ার কারণ কী? 

ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ হুমায়ুন আখতারের মতে, ঢাকার বড় অংশ পলিমাটির ওপর দাঁড়িয়ে। ঢাকার ভেতরে আবার লাল মাটি আছে, যেটা খুব ‘কম্প্যাক্টেড রেড ক্লে’। আবার কিছু ডোবা আছে, যেগুলো ভরাট করে বসত বা কোনো নির্মাণ করা হয়েছে। যেখানে পলিমাটি, সেখানে একটু ঝাঁকুনি লাগবে বেশি। ঢাকার একটু বাইরে যেমন বাসাবো বা রায়েরবাজার, ওখানে লাল মাটি নেই, সেখানে পুরোটাই পলিমাটি। এসব এলাকায় ঝাঁকুনি বেশি লাগার আশঙ্কা থাকে। সাভার বা ঢাকার মিরপুর লাল মাটির অঞ্চল। এসব এলাকায় ঝাঁকুনি কম অনুভূত হওয়ার কথা। ঢাকার একটি বড় অংশজুড়ে ডোবা এলাকা ভরাট করে বসতবাড়ি করা হয়েছে। সেসব অঞ্চলেও ভূমিকম্প বেশি অনুভূত হয়।

প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ৫ মার্চ রাজধানীতে মাঝারি ধরনের ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৬। তারও আগে ২৮ মে বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত ২টা ২৪ মিনিটে ভারতের মণিপুর রাজ্যের মোইরাং শহরের কাছাকাছি আরেকটি ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। সেসময়ও ভূমিকম্পের দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলসহ রাজধানী ঢাকা এবং পার্শ্ববর্তী কয়েকটি জেলায় হালকা কম্পন অনুভূত হয়েছিল৷

Link copied!